ঝিনাইদহ থেকে সংবাদ্দাতা : আগামী ১৪ অক্টোবর ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, নিরোপেক্ষ, সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় না রাখলে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জরুরী এক সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীর্ষ প্রতিকের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন,আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল একের পর এক নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তার ভোটার, সমর্থক ও এজেন্টদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকী ধমকি দিলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বহুবার রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত দিয়েছি। পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু ফলাফল শুন্য। বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই দু:সহ পরিবেশে নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত ভেবে আওয়ামীলীগ মঙ্গলবার রাতে নিজেরা কোটচাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটিয়ে পৌর বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে।
মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা দিয়ে আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট কোটাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সালাহ উদ্দীন বুলবুল সিডলকে গ্রেফতার করেছে। বোমা হামলা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচনী মাঠছাড়া কর হয়েছে। তুচ্ছ অজুহাতে আওয়ামীলীগ কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী পরিবশেকে অশান্ত করে তুলেছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন এটা কি অবাধ, নিরোপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের নমুনা ? লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আওয়ামীলীগ ও প্রশাসনের এই নোংরা চক্রান্ত অব্যাহত থাকলে বিএনপির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে
সরে দাড়াতে বাধ্য হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড মশিয়ূর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও সদস্য সচিব এড এম এ মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিপি/আর এল