আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে: নীলফামারীর ডোমারে ২০ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি নদীতে ডুবে যাওয়া ২শিশু। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু করে অদ্যবদি ডোমার ফায়ার সার্ভিস ও রংপুরের ডুবুরীদল শিশুদের লাশ খুজে না পাওয়ায়, লাশ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন হারিয়ে যাওয়া শিশুর পরিবার।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি গোমনাতী সড়কে দেওনাই নদীর একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপারের সময় জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের ময়নুল ও তার পরিবার স্ত্রী, তিন নাতি-নাতনীসহ অটোভ্যান যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় দেওনাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রীজের পাটাতনের ফাকে অটোভ্যানের চাকা ঢুকে উল্টে গেলে ময়নুলের স্ত্রী রওশন আরা (৫৫), তার তিন নাতি-নাতনি লিপু (১০), মনি আক্তার (৫) ও মনোয়ার হোসেন (৬) নদীতে ছিটকে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক রওশন ও লিপুকে উদ্ধার করলেও অপর ২ শিশু মনি ও মনোয়ার নদীতে নিখোঁজ হয়। সংবাদ পেয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ও ডোমার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন তাদের বাহিনী নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে রংপুর থেকে আসা ডুবুরীদল অভিযান চালিয়ে রাত অবদি ২শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়নি।
স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, আমাদের বাহিনী অনেক চেষ্টা করেও শিশুদের উদ্ধার করতে পানিনি, তবে বন্যার কারনে নদীতে প্রচুর পরিমানে শ্রোত ধাকায় ভিতরে তলিয়ে শ্রোতে ভাটির দিকে চলে যেতে পারে। নিখোঁজ শিশুদের বাড়ী গোমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬) ও জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসি পাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে মনি আক্তার (৫)। অপর দিকে নিখোঁজ ২ শিশুর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
বিপি/কেজে