গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)থেকে সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল আহাম্মেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, স্ত্রী’র মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ৪ জুলাই শনিবার এ মামলা হয়। গৌরীপুর থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী মোছাঃ পুষ্প আক্তার।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ দুলাল আহাম্মেদকে তার বাড়ি থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন,সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। দুলাল আহাম্মেদ সহনাটী ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র। মোছাঃ পুষ্প আক্তার জানান, তার স্বামী সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদ (দুলাল ডাকাত) ৬বছর পূর্বে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করায় সাত লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেন। এরপরেও জুন মাসে ধোপাজাঙ্গালিয়া গ্রামে মোছাঃ ডলি আক্তার (২৪) নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করে। গত ২৮জুন আরো দেড় লাখ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় দুলাল আহাম্মেদকে সহযোগিতা করেন তার নতুন বউ মোছাঃ ডলি আক্তার (২৪), মৃত বাবর আলীর পুত্র মোঃ আজিজুর রহমান (৫০), মৃত আব্বাস আলীর পুত্র মোঃ শহিদ মিয়া (৫৫), তাদেরকেও আসামী করে মামলা দায়ের করেন ভিকটিম।
এ দিকে দুলাল আহাম্মেদের পরিবার সূত্র জানায়, পুষ্প আক্তার নিজেই বিষ খেয়ে আত্মাহত্মার চেষ্টা চালায়। এ প্রসঙ্গে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, তদন্তে প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে। তিনি আরো জানান, পুলিশের অপরাধবার্তা তথ্য অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬টি মামলার আসামী মোঃ দুলাল আহাম্মেদ। অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক, ডাকাতি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় গৌরীপুর, ময়মনসিংহ সদর ও জামালপুর থানায় এসব মামলা রয়েছে।
বিপি/কেজে