বাংলাপ্রেস ডেস্ক: করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-০৫। ৯ জন পলাতক হিসেবে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে ‘মহাপ্রতারণার’ অভিযোগে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় ও হাসপাতালটির দুটি শাখা সিলগালা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান শেষে মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়ি থেকে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে এগুলোর অর্ধেকের বেশি পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আসছিল রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়া সরকার থেকে বিনামূল্যে করোনা টেস্টের অনুমতি নিয়ে রিপোর্ট প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করে আসছিল হাসপাতালটি। এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি করোনা রোগীর ফ্রি চিকিৎসা করার কথা থাকলেও রোগী প্রতি দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা আদায় করে আসছিল রিজেন্ট।
তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, টাকা আদায় করে আবার করোনা চিকিৎসার ক্ষতিপূরণ হিসেবে সম্প্রতি সরকারের কাছেও প্রায় দুই কোটি টাকা দাবি করেছে। এসব অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ নিজেই। রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় থেকেই এই অপকর্মগুলো হতো বিধায় এটি সিলগালা করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।
অভিযানে আট জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সারোয়ার আলম।
র্যাব জানায়, হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শাহেদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অপরদিকে, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ নানা ধরনের প্রতারণা ও অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করা সমঝোতা চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে এই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করা হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিপি/কেজে