ঝিনাইদহ থেকে সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আত্মহত্যায় শীর্ষ এক পরিবারের সন্ধান মিলেছে। ওই পরিবারের ৯ সদস্য কয়েক বছরের ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এমন একটি পরিবার রয়েছে। আবার ওই পরিবারের অনেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছেন।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আইন উদ্দীন মন্ডল, কিয়ামুদ্দিন মন্ডল ও খয়বর মন্ডল তিন ভাই। একই বাড়িতে তাদের বসবাস। বিশ বছর আগে কিয়ামুদ্দিন মন্ডলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। চাচির দেখাদেখি ওই বছরেই আইন উদ্দীণ মন্ডলের মেয়ে ফরিদা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। ক’বছর আগে কিয়ামুদ্দিনের ছোট ছেলে আয়ুব আলীর স্ত্রী সাহেরা খাতুনও আত্মহত্যা করেন। স্ত্রী বিয়োগের পর আয়ুব আলী ছোট শ্যালিকা সোনিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছরের মধ্যে সোনিয়াও আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায়। ২/৩ মাস আগে ওই পরিবারের আইন উদ্দীন মন্ডলের ছোট মেয়ে মোমেনা খাতুন আত্মহত্যা করেন। মোমেনা খাতুনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে আইন উদ্দীনের বড় মেয়ে ভুরভুরি খাতুন আত্মহত্যা করেন। মায়ের মৃত্যুর পর ভুরভুরি খাতুনের ছেলে চঞ্চলও আত্মহত্যা করেন। গ্রামবাসি জানায় কিয়ামুদ্দীন মন্ডল একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেলেও ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আইন উদ্দীন মন্ডলের মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলাম পারিবারিক কলহে বিষপান করেন। স্বামীর দেখাদেখি অভিমানে স্ত্রী সাজু ওরফে লাইলী বিষপান করেন। এ যাত্রায় স্ত্রীর জীবন বাঁচলেও বাঁচেনি জামাই সাইফুল। গ্রামবাসির ভাষ্যমতে, বালিয়াডাঙ্গার ওই পরিবারটির সদস্যরা একজনের দেখাদেখি অন্যজন আত্মহত্যা করছেন। একের পর এক আত্মহননে এ পর্যন্ত ৯ সদস্য জীবন আত্মহুতি দিয়েছেন।
বিপি/কেজে