মোঃ হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর থেকে : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম রিয়া। যেমনি পড়ালেখায় মেধাবী, তেমনি দেখতে সুন্দর।
হাঁসিখুশি প্রাণ চঞ্চল এই ফুটফুটে মেয়েটি খেলাধূলায় যেমন মাতিয়ে রাখতো বন্ধুদের তেমনি কাজেকর্মে সহযোগিতা করতো পরিবারে ও প্রতিবেশীদের। কোভিড-১৯ দুর্যোগের আগে হঠাৎ করে দেখা দেয় তার পেটে ব্যাথা। তার তীব্র ব্যাথার যন্ত্রণায় শুধু বাবা-মা নয়, প্রতিবেশীরাও কেঁদেছেন।
স্থানীয়ভাবে চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে জানা যায় তার পেটে টিউমার রয়েছে। সেখানে চিকিৎসায় কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায় পাঠানো হয় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন সময়ে হয় তার অপারেশন। বের করা হয় ৩ কেজি ৭৫গ্রাম ওজনের একটি টিউমার। টিউমার অপারেশনের পর সারা শরীরে ছড়িয়ে যায় ক্যান্সারের জীবানু। ডাক্তার বলেছে, চিকিৎসাতে সে ভালো হয়ে উঠবে। প্রয়োজন ১৫টি কেমো থ্যারাপি। তার বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম। পেশায় একজন সিএনজি চালক। মা সানোয়ারা মবিন, গৃহিনী। বাস করেন পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়। নেই মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই। সেখানে দুই মেয়ে আর এক কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
তাঁর পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়। তারপরও সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে শেষ
হয়েছে ৫টি কেমো থ্যারাপী। আরও ১০টি কেমোথ্যারাপীর জন্য প্রয়োজন ৩লাখ টাকা এবং দৈনন্দিন ওষুধের জন্য ১লাখ টাকা। এই ৪লাখ টাকা হলে হয়তো বেঁচে যাবে রিয়া! রিয়ার বাবা দেশের বিত্তবানদের কাছে তার মেয়ের চিকিৎসার সহায়তা চেয়েছেন। রিয়া’র হাসিমুখ দেখতে আপনিও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। সেই সহযোগিতায় রিয়া আবারও হাসবে, খেলবে, ফিরবে প্রিয় বান্ধবীদের খেলার দলে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :
বিকাশ নং ০১৯১৬-৮৬২-৫৭৩ (মেয়ের বাবা)
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, গৌরীপুর শাখা। সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৩০৯২০১০১৮৬৮৭।
বিপি/আর এল