হাফিজুর রহমান হাবিব তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) থেকে : তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো বই পড়া উৎসব-২০২০। “বঙ্গবন্ধুকে পড়ো, দেশকে জানো” গানকে সামনে রেখে তেঁতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা জনাব সোহাগ চন্দ্র সাহা বঙ্গবন্ধুর লেখা “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” ও “কারাগারের রোজনামচা” বই দু’টি উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বিতরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক ও বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। অতঃপর অদ্য ০৯ আগষ্ট রোববার বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চুড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন, তেতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাহেব আলী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভজনপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শিপন হাবিবুর রহমান ও কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক।
বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, “দেশপ্রেমিক ও আত্মমর্যাাদাসম্পন্ন প্রজন্ম গড়তে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানার কোনো বিকল্প নেই। মোবাইলে আসক্ত তরুণ প্রজন্ম ও আগামী দিনের দেশের কান্ডারী শিশুদেরকে বই পড়ায় অভ্যস্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ধারণ ও সুস্থ্য ধারার সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর প্রজন্ম সৃষ্টি ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে পারি। তাই আমি পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পেশাজীবী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে চাই। উপযুক্ত পরিবেশ ও সকলের সহযোগিতা পেলে আমি বই পড়ায় একটা বিপ্লব সূচনা করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।” উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা কখনই সম্পূর্ণ হতে পারে না। তাই ইউএনও মহোদয়ের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে এই উদ্যোগের সাথে আমার সকল প্রকার সহযোগিতা থাকবে সব সময়।”
অনুষ্ঠানশেষে এক প্রতিক্রিয়ায় উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত তেতুলিয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক ও কথাসাহিত্যিক হাফিজ উদ্দীন বলেন, “বই পড়া উৎসবটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ঈদের ছুটিতে মাত্র এক সপ্তাহে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বই দু’টি যেভাবে আয়ত্ব করেছে, তাতে আমি অভিভুত এবং দারুণভাবে আশাবাদী। প্রমাণিত হলো এই শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক জ্ঞাণ লাভ করেছে। এই শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে আরও ভাল কিছু করবে বলে আমার বিশ্বাস।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বই পড়া উৎসবটি শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষকদের মধ্যেও বিস্তৃত করা প্রয়োজন।
কারণ, শিক্ষকরা ভাল জানলে তার ফল শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়।”
বিপি/আর এল