এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপজেলা আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি দিলনেওয়াজ খানের মায়ের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুর তাঁর বাসভবনে এসেছিলেন।
৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দিনাজপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌছার পথে শহরের মুন্সিপাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন দিলনেওয়াজ খানের পৈত্রিক বাড়িতে আসেন। তিনি আসা মাত্রই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দিলনেওয়াজ খানের বড় ভাই বাদশা খান, সাজু খান, ছোট ভাই দিলওয়ার খান, বড় বোন পারভীন নাজসহ পরিবারের লোকজন।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোমতাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, নীলফামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহেদ শামিম, সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসিম আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম, থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, মোস্তফা ফিরোজ প্রমুখ।
মন্ত্রী অন্দরমহলে প্রবেশ করে দিলনেওয়াজ খানের পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি তাঁদের সমবেদনা জানিয়ে ধৈয্য ধারণ করার জন্য শান্তনা দেন। প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থানকালীন সময়ে তিনি দিলনেওয়াজ খানের মায়ের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। পরে মন্ত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
এসময় তাঁর সাথে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দর পর্যন্ত যান এবং তাকে বিদায় জানান। উলেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিলনেওয়াজ খানের মা কাওসার পারভীন ৭৫ বছর বয়সে নিজ বাস ভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ওইদিন রাতে বাদ এশা সৈয়দপুর শহরের ফাইভ স্টার মাঠে জানাজা শেষে মরহুমাকে হাতিখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৪ সেপ্টেম্বর মরহুমার নিজ বাসভবনে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফকির মিসকিনও এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
বিপি/আর এল