মো.হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর থেকে : সরকারি চাকরিতে তথ্য গোপন করা একটি নৈতিক অপরাধ, আর এই কাজটিই করেছেন গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আলী আহাম্মদ মোল্লা। তিনি গৌরীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের মেশিনিষ্ট বিভাগের চীপ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগদানের পূর্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডে চাকরি করতেন। এই তথ্যটি তিনি তার সিভি বা অভিজ্ঞতা, কোথাও উল্লেখ করেননি।
তৎকালীন অধ্যক্ষ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো: আব্দুল মতিন জানান, ২০০৪ সালে এপ্রিল মাসে গৌরীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে আমার কাছেই আলী আহাম্মদ মোল্লা মেশিনিষ্ট বিভাগের চীপ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগদান করেছিলেন। আমার যতোদুর মনে আছে এধরণের কোন তথ্য তিনি কোথাও উল্লেখ করেননি।
সেসময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার মধ্যে ৫ বছর কোন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিলো। তৎকালীন প্রজেক্ট ডিরেক্টরের তত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর আলী আহাম্মদ মোল্লা গৌরীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে মেশিনিষ্ট বিভাগের চীপ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগদান করেন। এসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডের স্টোর কিপারের চাকরির বিষয়টি তিনি গোপন করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে-সেসময় তিনি কোন জাল অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়েছিলেন। ইচ্ছাকৃত তথ্য গোপন করে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন কালে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানিসহ শিক্ষক- কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগের পাশাপাশি এই বিষয়টি সামনে আসে। একই প্রতিষ্ঠানে এতো দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের ঘটনাটিও সরকারি চাকরিতে বিরল।
গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে যোগদানের পর আমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডের চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছি স্বীকার করেন অধ্যক্ষ আলী আহাম্মদ মোল্লা।
বিপি/আর এল