বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে চাচির সঙ্গে ভাইপোর পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে চাচা দিনমজুর আব্দুল আজিজকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে (৭ ডিসেম্বর) নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিুবল ইসলামের আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পরকীয়ার জেরে তারা তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত নজরুল ইসলাম নিহতের ভাই চাঁদ আলীর ছেলে। নিহত দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা (৫৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা গ্রামের মৃত এনামুল মোল্যার ছেলে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, দিনমজুর আব্দুল আজিজ মোল্যা হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ও ভাইপো নজরুল ইসলামের আচরণ সন্দেহজনক হলে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে পরকীয়ার জেরে তারা শনিবার রাতে আব্দুল আজিজকে বাড়ির পিছনে বাঁশবাগানে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। একই সাথে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে দা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটিও জব্দ করা হয়।
সাতক্ষীরার কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায় জানান, রোকেয়া খাতুন বিকেলে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় এর আদালতে এবং নজরুল ইসলাম সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিুবল ইসলামের আদালতে পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা গ্রামের মোল্যাপাড়ার আব্দুল আজিজ মোল্যাকে বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগানে দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিপি/আর এল