নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি সংবলিত একটি ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের দাবিতে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টার দিকে বোর্ড বাজার বড় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন মেয়রের বিরোধীরা।
অপরদিকে, ২০০ গজ দক্ষিণে সিটি করপোরেশনের গাছা কার্যালয়ের অপরপাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজি অগ্রগতিতে জাতিসংঘের এসডিএসএন পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সমাবেশের ঘোষণা দেন মেয়র জাহাঙ্গীর। এ সমাবেশে মেয়র জাহাঙ্গীর যে যোগ দেবেন, তা জানানো হয় আগেই। দুই পক্ষের এই বিক্ষোভে উত্তেজনার মধ্যে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুপুর থেকেই চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে মোতায়েন করা হয় জলকামানও। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এরপর বেলা ৩ টার পর থেকে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরাই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। স্টীলের পাইপ, লাঠি ও ঝাড়ু হাতে মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মীদের। তবে বিকেল ৪ টার দিকে মেয়রের ব্যানারে নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। জাহাঙ্গীরবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজকরা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন মন্ডলের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীদের মুখে পড়েন জাহাঙ্গীর অনুসারীরা।
এ সময় দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে দুইপক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মামুন মন্ডলকে তার বোর্ডবাজারের অফিস থেকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীরা দৌড়ে আশপাশের সড়কগুলোতে চলে গেলে মেয়রবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ পশু হয়ে যায়।
এরপর জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা নির্বিঘ্নে সমাবেশ করলেও বিক্ষোভকারীরা আর তাদের সমাবেশস্থলে ফিরতে পারেননি। মেয়র জাহাঙ্গীর নগরীর ডেকেরচালা এলাকার নিজ বাসা থেকে বিকেল ৪টার বের হয়ে হাজারখানেক নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে সমাবেশস্থলের যান। সন্ধ্যা ৬টায় মোনাজাতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার সমাবেশ শেষ করেন।
বিপি/আর এল