সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মহিন নামের সিএনজি চালিত এক অটোরিক্সা চালককে হত্যার পর সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামি মোহন ও তারেকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে ওই দুই আসামির আরো ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এদিকে অপর এক মাদক মামলায় একই আদালত এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদরের বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মাইন উদ্দিনের ছেলে মোহন ও রশিদপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে তারেক। অপর মাদক মামলায় সাজা পেয়েছেন টেকনাফের পানখালি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৭ জুলাই রাতে রামগঞ্জ থেকে সিএনজি ভাড়া করে নিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর সদরের হামছাদী ইউনিয়নের বিজয় নগর গ্রামে চালক মহিনকে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আসামিরা। পরে সড়কের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন ২৮ জুলাই নিহতের পিতা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ শহরের রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করে এবং মামলার তদন্ত করে ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি মোহন ও তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১২ জন স্বাক্ষার সাক্ষ্য গ্রহণের পর তাদের যাবজ্জীবন সাজা ও জরিমানা করেন। তবে রায়ের সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহন আদালতে উপস্থিত ছিল না।সে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।এদিকে একই আদালতে একই দিন অপর এক মাদক মামলায় গিয়াস উদ্দিন নামের একজনের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর টেকনাফ থেকে পেটের ভেতর করে ইয়াবা নিয়ে যাওয়ার পথে সদরের দালালবাজার এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে ১১২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ওই মামলায় তাকে সাজা দেন আদালত।লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন হত্যা ও মাদক মামলার রায়ের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।
এদিকে হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবি আফরোজা ববি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।
বিপি/আর এল