Home Uncategorized এবার লক্ষ্মীপুরে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন শিক্ষক

এবার লক্ষ্মীপুরে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন শিক্ষক

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ এবার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীর পাড় আলিম মাদরাসার ১০ম শ্রেণীর ছয় ছাত্রের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার ছাত্রদের পাঠদান বন্ধ করে বারান্দায় ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রদের চুল কেটে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। এর আগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৪ জন ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়ার ঘটনা সারাদেশে আলোচিত হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

লক্ষ্মীপুরের ওই মাদরাসা শিক্ষকের নাম মঞ্জুরুল কবির। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রায়পুর থানা পুলিশ মাদরাসা পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা ছাত্র ও অভিভাবকদের সাথেও কথা বলেছে। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ম শ্রেণীর ওই ছাত্ররা ক্লাসের শৃঙ্খলাভঙ করে আসছে। এ জন্য তাদের অল্প করে চুল কেটে দেয়া হয়েছে। বাকি চুল তারা সেলুনে কেটেছে। তবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই।

ওই শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। এ সময় হঠাৎ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির কাঁচি দিয়ে তাদের ছয়জনের মাথার চুল কেটে দেন। ঘটনার পর সহপাঠীদের সামনে লজ্জিত হয়ে তারা ক্লাস না করে মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যান। মাদরাসার অধ্যক্ষ বালাগাত উল্যাহ বলেন, কোনো শিক্ষার্থী অভিযোগ করেনি। খোঁজখবর নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাবোধ সৃষ্টির জন্য অনেক সময় ছাত্রদের একটু ভয় দেখানো হয়। তবে কোনো শিক্ষক ছাত্রদের চুল কাটতে পারেন না।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিপি/আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী