শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ(পঞ্চগড়)থেকে সংবাদদাতা: দেবীগঞ্জে জলপাইর বাগান করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছে। জলপাইর ভাল দাম ও চাহিদা থাকায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলপাই ব্যবসায়ীরা বাগান কিনে নিচ্ছে। বাগান মালিকদের জলপাই গাছ থেকে পাড়ায় বাজারে বিক্রি করতে হয় না। জলপাই এ জনপদের মানুষদের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হওয়ার এক নতুন মাত্রা যোগ করে দিয়েছে ।
আজ (২৬অক্টোবর) মঙ্গলবার দেবীগঞ্জ বাজারে আলমগীর নামের এক কৃষকের সাথে কথা বলে যানা যায়,তিনি বলেন আমার একটা ছোট জলপাইয়ের গাছ থেকে প্রায় ২ মন জলপাই বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। দেবীগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন লাক্ষ টাকার জলপাই বিক্রি হচ্ছে। মাসে হচ্ছে ১ কোটি টাকার ওপরে। প্রতি কেজি জলপাই প্রকারভেদে ১০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেবীগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ৩০টন থেকে ৪০টন বা তারও বেশি জলপাই কেনা হয়ে থাকে। কমপক্ষ্যে ২০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জলপাই কিনে বাইরের থেকে আসা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৬/৭টি করে ট্রাক জলপাই লোড করে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জলপাই বেচা-কেনা চলবে প্রায় ৩ মাস যাবত। আশ্বিনের ১৫ তারিখ থেকে জলপাই বাজারে আসা শুরু করেছে, চলবে পুরো পৌষ মাস পর্যন্ত। এর আমদানি আরও বাড়বে, এমন ধারনা ব্যসায়ীদের। কেনা-বেচার এ ঘনত্বে দেবীগঞ্জে নতুন করে শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ জলপাই কেনা-বেচার আড়ৎ হচ্ছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে।
প্রতিদিন দেবীগঞ্জে জলপাইর বাজার বসে। দেবীগঞ্জ বাজারে বাইরের জেলা থেকে জলপাই নিয়ে আসে,নীলফামারী,দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, তার মতে দেবীগঞ্জে রয়েছে জলপাইর ছোট-বড় অসংখ্য বাগান । আরও নতুন নুতন ব্যাপক জলপাইর বাগান গড়ে উঠেছে। । পঞ্চগড় জেলায় দিন দিন জলপাইর চাহিদা বৃদ্ধি সহ এ জেলার লোকজন ব্যপকহারে জলপাইর বাগান করার আগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগও কৃষকদের আগ্রহকে দিচ্ছে বেশি করে অনুপ্রেরনা।
পঞ্চগড়ে জলপাই বাণিজ্যিক হিসেবে আর্বিভ’ত হতে চলেছে। জলপাইর গাছ লাগাতে পারলেই হয়। খুব বেশি পরিচর্চার প্রযোজন হয় না। দিতে হয় না সার ও সেচ। ফলে এটি একটি লাভজনক ফল বাগান। কমপক্ষ্যে একটি গাছে এক থেকে দেড় মন জলপাই ধরে। জলপাইর নার্সারী করে এখন অনেকে বেশ স্বাবলম্বী। জলপাইর ক্রমবর্ধমান চাহিদা ভবিষ্যতে এ জেলার অর্থনীতিতে আরও ব্যাপক গতি সঞ্চার করবে মর্মে আশাবাদ এ কৃষি কর্মকর্তার।
বিপি/কেজে