শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: দেবীগঞ্জ উপজেয়া এক সময় মাসকালাই চাষ হত শত শত বিঘা। কালের বিবর্তনে ফুরিয়ে যাচ্ছে মাসকালাই।কালের বিবর্তনে বর্তমান প্রজন্ম ভুলে মাশকালাই চাষাবাদ। দেবীগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ বিলাসী নগর পাড়ার কৃষক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মাসকালাই আগে আমরা উঁচু জমিতে চাষ করতাম কারণ সে সময় উঁচু জমিতে অন্য কোন ফসল উৎপাদন করা যেত না।বর্তমানে উঁচু জমিতে আদা,হলুদ,বাদাম,কলা সহ নানান ফসল উৎপাদন করা যায়।মাসকালাই লাভ কম হয় এজন্য তেমন ভাবে চাষ করা হয় না।
কৃষক শাহজাহান আলী জানান এখন মাসকালাই সাথী ফসল হিসেবে চাষ করি। বাদামের সাথে ,কলার সাথে মাসকালাই চাষ করা যায়।মাসকালাইয়ের দানা হয় ছোট ছোট কালো রঙের। এই কালাইয়ের ডাল একসময় গ্রামের দাওয়াত বাড়ির জন্য খুব জনপ্রিয় ছিল। একজন বৃদ্ধ লোক জানান,আমাদের প্রধান তরকারি ছিল মাসকালাইয়ের ডাল।যে কোন তরকারির সাথে ডাল খুব ভালো লাগে।বর্তমান কালাই ও কম আর আগের মত স্বাদ নেই কালাইয়ের।মাসকালাই রান্না করলে একটা ঘ্রাণ আসতো বর্তামান কালাইয়ের কোন ঘ্রাণ পাওয়া যায় না।
ওত ভালোও লাগে না। কলার পাতায় মাশকালাইয়ের ডাল আর ভাত কত মজা। কলা গাছের প্লেটে দাওয়াত বাড়িতে খাবার পরিবেশন করত।বর্তমানে তা দেখা যায় না।গত ৮_১০ বছর পূর্বে মাশকালাই চাষ হত বানিজ্যিক ভাবে এখন চাষ হয় শখের বসে।বাড়িতে খাওয়ার জন্য।রামগঞ্জ বিলাসী নগর পাড়ার আব্দুল খলিল নামের কৃষক ৪ শতক জমিতে মাশকালাই চাষ করেছেন কলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে।
দেবীগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবছর দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে মাশকালাই চাষ করা হয়েছে। কৃষকদের কে উদ্বুদ্ধকরণ করতেছি সামনে এটা বাড়তে পারে আশা রাখি।
বিপি/কেজে