বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মডেল তারকা সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪) হত্যা মামলার রায়ের তারিখ আজ (সোমবার, ১৫ নভেম্বর) ধার্য রয়েছে। এদিন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এ রায় ঘোষণার করবেন। এ মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টি সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
রায়ে অভির সর্বোচ্চ সাজার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভোলানাথ দত্ত। তিনি বলেন, আশা করছি, আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে।
এর আগে কয়েক দফায় পেছায় তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের তারিখ।
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার। এর পর তিন্নির লাশের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলে সুজন নামে নিহতের এক আত্মীয় লাশটি শনাক্ত করেন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।
এর পর বিভিন্ন সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ এবং এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
বিপি/কেজে