নরসিংদী প্রতিনিধি : নদীতে ভেসে ওঠে এক নারীর লাশ। পরবর্তীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়। ঘটনার দেড় বছর পর জানা গেল বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয় কথিত প্রেমিক আমিনুল ইসলাম।
নরসিংদীর রায়পুরায় এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি আমিনুল।
জানা গেছে, নরসিংদীর নিপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের আমিনুলের। কিন্তু নিপার হঠাৎ অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
আমিনুলের সঙ্গে আবারো সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নিপা। কিন্তু আমিনুল বিয়ে করতে রাজি না হয়ে বরং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
২০২০ সালে এপ্রিলে ২৪ তারিখ বিয়ের কথা বলে বাসা থেকে নিয়ে যায় নিপাকে। পরে মেঘনা নদীতে নিয়ে আমিনুল তার চাচাতো ভাই জহিরুলসহ সাতজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
বিয়ের চাপ দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে মেঘনায় ভাসিয়ে দিলেন প্রেমিক।
পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও অধিকাংশ আসামি জামিনে রয়েছে। একই সাথে পলাতক প্রধান আসামি আমিনুল।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, তারা সব কিছুই পরিকল্পনা করে করেছে। লোক জোগাড় করে হত্যা করেছে। এরপর গলায় গামছা লাগিয়ে দুই পাশ থেকে টান দিয়েছে।
এ মামলার বাদী নিপার মা জানান, এখনো প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যার হুমকি দেয় তাকে। তিনি বলেন, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় প্রায় সময়। বাড়ি যেতে না করে। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার দুই আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দি দিয়েছে।
বিপি/কেজে