আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে ভারতীয় চোরাই পণ্য ধরিয়ে দেয়ায় তথ্যদাতাকে পিটিয়ে জখম করেছে চোরাকারবারীরা। এনিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। সরেজমিনে জানাগেছে উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর কেতকীবাড়ী হাজীপাড়া গ্রামে চোরাকারবারীরা দির্ঘদিন থেকে সিমান্ত পেরিয়ে মাদক দ্রব্য সহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালান করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৭/১১/২১ ইং তারিখ গভীর রাতে ওই এলাকার চিনিহৃ চোরাকারবারী বারী শিবনাথ রায়ের ছেলে স্বপন রায়, নিশিকান্ত, মৃত ভবেনের চৌকিদারের ছেলে গ্রাম পুলিশ বিজয়, লুৎফর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত দারাজ উদ্দিনের ছেলে একরামুল হক, ধৌউলু রায়ের ছেলে ভবানী রায় মাদক সহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতীর ১১টি বস্তা ভারতীয় বরর্মপূত্র সিমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পথে শফিকুল ইসলামের ছেলে শানু মিয়া সহ এলাকার লোকজন বিজিবিকে চোরাই মালামাল আটকে সহায়তা করে।
এসময় তারা চোরাই পণ্যের ১০টি বস্তা নিয়ে পালিয়ে গেলেও ১ বস্তার ভারতীয় বৈদ্যুতিক পন্য আটক করে বিজিবির নিকট হস্তাস্তর করে। এতে উল্লেখিত চোরাকারবারীরা ক্ষিপ্ত হয়। গত ০৭/১১/২১ইং তারিখে সন্ধ্যায় সানু মিয়া পাশ্ববর্তি ইউনিয়নের গোমনাতী বাজার চৌরাস্তায় গেলে শতশত লোকের সামনে তাকে বেদম মারপিট ও গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময় রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
আহত সানু মিয়ার বড় ভাই আবু রওশন প্রতিনিধিকে জানান, আমার ভাই চোরাকারবারীদের ধরতে সহায়তা করার জন্য আজ হামলার স্বীকার হয়। আমি এবিষয়ে ডোমার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু অদ্যবদী তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ঠাকুরদাস ঘটনা স্থলে আসে নাই বা কোন প্রকার তদন্ত করে নি। এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ২/৩ দিন আগে মামলা রেকর্ডকরা হয়েছে।
বিপি/কেজে