Home Uncategorized তেঁতুলিয়ায় চালের কার্ড নবায়নে টাকা আদায় ডিলারকে জরিমানা

তেঁতুলিয়ায় চালের কার্ড নবায়নে টাকা আদায় ডিলারকে জরিমানা

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

হাফিজুর রহমান হাবিব, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের নামে সরকারের দেয়া ১০টাকা কেজি চাল বিক্রয়ে কার্ড নবায়নের নামে টাকা ও চাল বিক্রয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের দায়ে সুলায়মান বাদশা নামের এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে শিলাইকুঠি বাজারে অভিযানকালে চাল বিক্রয়ের সময় উপকারভোগীদের নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা।

এ সময় ঘটনাস্থল হতে উপকারভোগীদের তালিকা ও আদায়কৃত অর্থ সমূহ জব্দ করে সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের মাঝে আদায়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সুলায়মান বাদশা দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়নে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। তিনি কাটা পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিব উদ্দিন সরকারের পুত্র।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন, সচিব আলোপ্তগীন মুকুল, সাংবাদিক, গ্রাম পুলিশসহ উপকার ভোগীগণ। জানা যায়, ২০১৬ সালে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’প্রতিপাদ্য নিয়ে হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর (ফেয়ারপ্রাইজ) আওতায় আনার জন্য ১০ টাকা কেজি দরে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি চাল বিক্রি শুরু করেন সরকার।

এ বছর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীদের কার্ড নবায়নের সিদ্ধান্ত নেন সরকার। কার্ড নবায়নের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা উপজেলার ডিলারদের নির্দেশ দেয়। ডিলাররা ওই সুযোগে কার্ড নবায়নের নামে কার্ড প্রতি এক’শ টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা। তারা অভিযোগ করেন ডিলার সোলায়মান বাদশা পুরাতন কার্ড রেখে নবায়নের কথা বলে একশ টাকা নেন। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিচ্ছি।

কার্ড নবায়নের নামে টাকা আদায় বন্ধের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা। এ কর্মসুচীর আওতায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে ২৪০ জন উপকারভোগী রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। শেখ হাসিনা সরকার আমাদের ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এটা পেয়ে খেয়ে বেঁচে আছি।

যেখানে ৩০ কেজি চাল কিনতে ৩শ টাকা জোগার করা কষ্টকর, সেখানে কার্ড নবায়নের নামে একশো টাকা দিতে বাধ্য করছে। এ বিষয়ে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ডিলার সুলায়মান বাদশা কার্ড নবায়নে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার নির্দেশে টাকা আদায় করেছি। টাকা আদায়ের নির্দেশ করে আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। মহামারী করোনা দূর্যোগের সময় আমি স্ব-উদ্যোগে এ ইউনিয়নের শতশত কর্মহীন, অসহায় মানুষের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। সেখানে হতদরিদ্রদের দেয়া এই টাকা আমি কিভাবে নিতে পারি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল হক বলেন, কার্ড নবায়নে কোন টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি। কোন ডিলার যদি টাকা আদায় করে থাকেন, সত্যতা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির
আওতায় কোন উপকারভোগীর কাছ থেকে কার্ড নবায়নের নামে টাকা ও চাল বিক্রয়ে
অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী