নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মার্কিন ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউসের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিরা গণ অনশন ও বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিএনপির নেতাকর্মিরা ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ যোগ দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে হলে সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নানাবিধ জটিল রোগে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের জায়গায় চলে এসেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এখন পৃথিবীতে দৃষ্টান্তহীন নির্মমতার ভয়ানক রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। গণতন্ত্র উদ্ধারের অবিসংবাদিত এই নেত্রী শত নির্যাতনের মুখেও নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। তাকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়। নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ও উপবৃত্তি চালুর মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন সমাজ উন্নয়নে। বেগম জিয়ার আমলে প্রাকৃতিক এবং রাজনৈতিক দুর্যোগকে সামলাতে গিয়ে দেশকে খাদ্যসঙ্কট অথবা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেননি। বরং তার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন এবং সব অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ আজ উগ্র রূপ ধারণ করেছে বলেই দেশের বৃহত্তম দলের নেত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধুঁকছেন। ফ্যাসিস্টরা সহমর্মিতা, সহানুভূতির ধার ধারে না। এরা নির্দয় দমন-পীড়নে সব সমালোচনা ও বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার কাজেই ব্যাপৃত থাকে।
দুপুর ২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত্ যুক্তরাষ্ট্র ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাঁর সুষ্ঠ চিকিৎসার জন্য তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেন বিএনপির নেতাকর্মিরা। পরে বিকাল ৪ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত্ হোয়াইট হাউসের সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিকী গণ অনশন করেন। সেখানে বেবী নাজনীনের পক্ষ থেকে সবাইকে পানি পান করিয়ে প্রতিকী অনশন ভাঙ্গানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরাফত হোসেন বাবু, যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দীন ভুঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সবুর, উপদেষ্টা মার্শাল মুরাদ, যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দীন,যুগ্ম আহবায়ক এবাদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচীব মোশারফ হোসেন সবুজ, ওয়াশিংটন বিএনপি সভাপতি হাফিজ খান সোহায়েল, ভার্জিনিয়া বিএনপি আহবায়ক জহির খান, সদস্য সচীব তোফায়েল আহমেদ, ম্যারিল্যান্ড বিএনপি আহবায়ক শাহিদ খান, সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার সেলিম আহমেদ, উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক জাফর তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক আহবাব হোসেন খোকন, যুগ্ম সদস্য সচীব সাইফুর খান হারুন, যুগ্ম আহবায়ক মো: আবুল কাশেম, যুগ্ম সদস্য সচীব এজিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, মুক্তিযোদ্বা মীর মশিউর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচীব শরিফুল খালিশদার, নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, সুলতান আহমদ ভুঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক আমানত হোসেন আমান, মন্জুর মোর্শেদ, মহানগর নেতা রুহুল আমিন নাসির, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, বিএনপি নেতা এমলাক হোসেন ফয়সল, যুবদল নেতা রেজাউল আজাদ ভুঁইয়া, ভার্জিনিয়া বিএনপি নেত্রী কামরুন্নাহার কনা, ডিসি বিএনপি নেতা আলবাব হোসেন সোহাগ, ম্যারিল্যান্ড বিএনপির মোহাম্মদ কাজল, মাহমুদ রায়হান, বাবুল চৌধুরী, নিউ ইয়র্ক বিএনপির মনিরুল ইসলাম মনির, জিয়াউল হক মিশন, শরীফ চৌধুরী পাপ্পু, মোঃ মাইনউদ্দিন, মাজহারুল ইসলাম মিরন, বি এম বাদশা, বাদল মির্জা, আজিজুল বারী তিতাস, শাহবাজ আহমেদ, ফরিদ খোন্দকার, এডঃ রেজবুল কবীর, হুমায়ুন কবির, মনিরুল ইসলাম, ওয়াহিদ্দুজ্জামান নিলু, মাহবুবুর রহমান পলাশ, এ আর মাহবুবুর হক, নাজমুল হোসেন, জামাল হোসেন, হাসান, দিদার, জহীর, ফারবাজ আলম, মো: মনির হোসেন, মহসিন মিয়া লাল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, মেহেদী হাসান ও শাহাব সিদ্দিকী প্রমুখ।
বিপি।এসএম