বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘণ্টা আগেই শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২টায় সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এখন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দেবেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। আর সঞ্চালনা করছেন সিলেট জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে চারপাশ মুখরিত করে রেখেছেন। তারা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। আজ ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং ধানের শীষ নিয়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা।
তবে বেলা সাড়ে ১১টার নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ শুরু হলেও অন্যান্য জেলা থেকে কয়েক হাজার সমর্থক গতকাল রাতেই সিলেট শহরে চলে আসেন। তাদের অনেকে নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নেন। আজ ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শহরের প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ জানিয়েছেন, সমাবেশকে ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও মাঠে রয়েছে। ১৯টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চারটি মোবাইল টিমসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি।
এরই অংশ হিসেবে ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় এবং ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বিপি/কেজে