বাংলাপ্রেস, ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন-আগামী ১০ তারিখে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে । তিনি বলেন, জনগণের প্রতি তাদের আস্থা নেই। চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নয়াপল্টনে এর আগে অনেক সমাবেশ করেছি, তখন তো সমস্যা হয়নি। এখন কিসের এত সমস্যা?
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মাদ্রাসা মাঠ) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘এত পেটাই, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এজন্য ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, ১০ তারিখে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পায়। এই গেল, এই গেল ভাবতে থাকে। বিএনপি এলো, বিএনপি এলো ভাবতে থাকে। ’
পল্টন সমাবেশের আগের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ করেছি। লাখ লাখ মানুষ হয়েছে। ওই দিন তো কোনো সমস্যা হয়নি। আজকে হঠাৎ আপনাদের মাথায় সমস্যা আসছে কেন? কারণ আপনারা জানেন অনেক কাজ করেছেন। ’
আওয়ামী শাসনামলে ৬০০ নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তাদের সময়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধী দলকে নির্মূল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মূল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেয়েছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে ওঠেছে। এ লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গায়েবি কোম্পানিকে টাকা দিয়ে ব্যাংক খালি করে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সেইসাথে আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় গানপাউডার দিয়ে একটা বাসেই ১১ জনকে হত্যা করেছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৫টা নির্বাচন হয়ে গেল। এরা ক্ষমতায় আসার পরে কী করল? ওই ব্যবস্থা পাল্টে দিল। কেন, তারা কিছুদিন পরে বুঝতে পারল জনগণ তাদের পছন্দ করছে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ’
বিপি>আর এল