বাংলাপ্রেস ঢাকা: নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা মুক্ত হন।
কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করে রাখা যাবে না। অবিলম্বে সব নেতাকর্মীর মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে এজন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।
এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রাখেন। ফলে এই দুই নেতা মুক্তির পথ খুলে যায়। এসময় কেরানীগঞ্জের কারাগারে মুক্তির সময়ে মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ২০১৫ সালে প্রায় ৯ মাস কারাবাসের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মির্জা আব্বাস আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নাকচ করলে কারাগারে যান। তবে ১৮ দিন পর উচ্চ আদালতের জামিনে তিনি মুক্ত হন।
গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানালে তা সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট হাইকোর্টের দেয়া আদেশই বহাল রাখে।
কারাবন্দি হওয়ার পর বিএনপির এই দুই নেতা জামিন আবেদন তিন দফা ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাকচ হয়। পরে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও সেই আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং শাহজাহানপুর বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা দপ্তরে নিয়ে যায়।
পরদিন নাশকতার একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে।
বিপি>আর এল