আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ফুল ও ফলের সুগন্ধে মুখোরিতো করেছে পুরো এলাকা, বাগানটি দেখতে সকাল বিকাল দর্শনার্থীদে উপচেপড়া ভীড়। কথায় বলে যে ফুলকে ভাল বাসেনা, সে মানুষকে খুন করতে পারে, বলছি ফুল প্রেমী এক মানুষের কথা।
নিজ বাড়িতে এমন দুষ্টি নন্দন ফুলের বাগান করে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলার ছোটরাউতা গ্রামের ভাষা সৈনিক গোলাম রাব্বানি বুলবুলের পুত্র আখতার ফারুক
তপু। শীত ও বর্ষা মৌসুমে তিনি এই বাগানটি করে থাকেন, এবারো তার ব্যতিক্রম
নয়। এবারো ফুলের পাশাপাশী গড়ে তুলেছে মাছের খামার।
তাতে হলুদ, সাদা, গোলাপী, লালের মিশ্রনে বর্নীল সাজে সাজিয়েছে তার বসত
বাড়িটি। ফুলের চারা বিক্রী করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হয়েছেন তিনি। তার এই
বাগান করতে উৎসাহ জুগিয়েছেন তারই সহর্ধমিনী স্কুল শিক্ষিকা শাপলা
আখতার। লেখাপড়ার ফাঁকে অবসর সময়ে বাগান পরির্চায় কাজে সহায়তা করেন তার
দুই সন্তান তাসনীম আখতার ও তাসফিয়াহ তাজিন। বাগানটি দেখতে সকাল থেকে
শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সের ফুল প্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভীড় জমে উঠে।
অনেকে তা ক্যামেরা বন্দি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক বা
ইন্টারনেটে। এতে করে প্রতিদিন বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীড়।
এ বিষয়ে আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সহিদুল সরকার বাগান
পরিদর্শনে এসে বলেন, তপু একজন রুচিশীল মানুষ প্রতি বছর বাগানে অনেক শ্রম
দেয়। তার বাগানের বাহারী রংঙ্গের ফুল গুলো আমাদের সকলের আকৃষ্ট করে, তাই আমি
সুযোগ পেলে তার বাগান দেখতে চলে আসি। আখতার ফারুক তপু জানান, ছোট
বেলা থেকে আমার ফুল ও বাগানের প্রতি ভালবাসা। গাছ সংগ্রহ করা আমার নেশা,
বিগত ১০ বছর যাবত বাগান করছি। এবার রংপুর, রাজশাহী থেকে অনেক ফুলের চারা
সংগ্রহ করেছি। সেখান থেকে প্রাকৃতিক ভাবে চারা তৈরী করে অনলাইনের মাধ্যমে
বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে বাগান দেখতে এবং
চারা কিনতে, এতে করে আমি খুবই আনন্দ বোধ করি। আগামীতে পরিকল্পিত ভাবে
ফুলের পাশাপাশী সব্জি বাগান ও বিভিন্ন প্রজাতীর গাছের চারা রোপনের পরিকল্পনা
রয়েছে।
বিপি>আর এল