আসাদুজ্জামান (হিল্লোল) ,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জয়নাল আবেদীনের সফলতার গল্প নাম জয়নাল আবেদীন বায়স মাত্র ২৫, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ আনন্দ বাজার এলাকার বাসিন্দা, পিতা সমর আলীর একজন সাধারণ কৃষক।
বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলে পড়ালেখা করে চাকুরী করে সংসারের হাল ধরবে, বাবার স্বপ্ন গুড়েবালি, তবুও সে থেমে নেই।। ২০১৬ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করে বেকারত্তের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে জয়নাল। সেই সময় ডোমার উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৮ সালে ৩ মাস মেয়াদী যুবউন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হাঁস, মুরগি, গবাদীপশু পালন ও মৎস্য চাষের উপরে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২শত হাঁসের বাচ্চা দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। সেই থেকে জয়নালের ভাগ্যের চাকা ঘুড়ে যায়। নিজেকে সফল আত্নকর্মী হিসাবে গড়ে তুলে।
বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রায় ২ হাজার হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন ২০হাজার টাকার বেশী বিক্রি করে। সব মিলে তার খামারে বর্তমানে ১৫ লক্ষ টাকার হাঁস রয়েছে। তার হাঁস মুরগি ও মাছের খামারে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যবসায় মূলধন লাগিয়েছে এবং সেখান থেকে মাসে ৩ প্রায় লক্ষটাকা আয় হয় বলে জয়নাল আবেদীন জানান।
তার এই কাজে সহযোগিতা করেন জয়নালের সহধর্মীনী সোহানা আক্তার। তারা দুজন মিলে কঠোর পরিশ্রম করে সফল উদ্দ্যোক্তা ও আত্নকর্মী হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাঁস পালনের পাশাপাশী ২০২৩ সালে নতুন করে মুগির খামার এবং ৫ একর জমিতে পুকুর খনন ও অন্যের পুকুর লিজ নিয়ে নানা প্রজাতীর মাছ চাষ করছেন তিনি।
খাদ্য তৈরী, বাচ্চা ফুটানোর মেশিন কিনে তা পরিচালনা করেন। জয়নালের খামারে প্রায় সময় খোঁজখবর রাখেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, সফল আত্নকর্মী হিসাবে জয়নালের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় পুরস্কারের পেতে পারেন তিনি। জয়নালের খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক হাস, মুরগি ও মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা করেন।
বিপি/কেজে