১৪ অক্টোবর ২০২৫

আবারও মাঠে ঢুকে পড়ল মুশফিক ভক্ত!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
আবারও মাঠে ঢুকে পড়ল মুশফিক ভক্ত!

বাংলাপ্রেস অনলাইন : ক্রিকেট মাঠে কিংবা ফুটবল মাঠে প্রিয় তারকার স্পর্শ পেতে মাঠে ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু সিলেট টেস্টে সবকিছু যেন একটু বেশি বেশিই হচ্ছে। টেস্টের প্রথম দিনে গত শনিবার এক ক্ষুদে মুশফিক ভক্ত মাঠে ঢুকে পড়েছিল। আজ ম্যাচের তৃতীয় দিন আবারও একই ঘটনা ঘটল। তবে এবার কোনো বালক 'ভক্ত' নয়; মুশফিকুর রহিমের ভক্ত এক যুবকের জন্য আবারও খেলায় বিঘ্ন ঘটে গেল।

জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪২ তম ওভারের শেষ বলটার পরই ঘটে এই ঘটনা। তাইজুল ইসমালের বলে পিটার মুর আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দল যখন উদযাপনে ব্যস্ত তখন পূর্ব গ্যালারির গ্রিলের বেষ্টনী ডিঙিয়ে অল্প বয়সী এক তরুণ ঢুকে পড়ে মাঠে। পেছন পেছন পুলিশ সহ নিরাপত্তা কর্মীরা ছুট দেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যা হয়, উসাইন বোল্টের গতিতে দৌঁড় লাগান সেই ভক্ত।

তার দৌঁড় থামে একেবারে মুশফিকের কাছে এসে! বিব্রত হয়ে পড়া মুশফিক দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেন। ভক্ত তাকে জড়িয়ে ধরলে তিনিও হাসিমুখে তাকে বুকে টেনে নেন। এরপর পুলিশ এবং বিসিবির আরও দুজন নিরাপত্তাকর্মী সেই তরুণকে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যায়।

বারবার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রথম দিনও পূর্ব গ্যালারী থেকে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোর মুশফিককে জড়িয়ে ধরতে ঢুকে পড়ে মাঠে। সাইফুল ইসলাম অনিক নামের ওই কিশোরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যালারিতেও সে এসেছিল টিকেট ছাড়াই স্টেডিয়ামের বাইরের আরেকটি নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে। অপ্রাপ্তবয়স হওয়ার কারণে ওই কিশোরকে পরে পুলিশ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে।

এদিকে বারবার দর্শক ঢুকে পড়ার পেছনে নিরাপত্তা বেষ্টনীর উচ্চতা এবং নিরাপত্তাকর্মীদের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেন বিসিবি নিরাপত্তা প্রধান মেজর(অব) হোসাইন ইমাম। তার কাছ থেকে জানা যায়, এত বড় একট আয়োজনে বিসিবির নিরাপত্তাকর্মী মাত্র ২০ জন। যা দিয়ে এতবড় মাঠ কাভার করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। ভক্ত ঢুকে পড়াটা আবেগের বিষয়; কিন্তু এই সুযোগটা দুষ্কৃতিকারীরাও নিতে পারে! সে বিষয়ে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।

বাংলাপ্রেস/এফএস

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন