১৩ অক্টোবর ২০২৫

আদা নাকি তুলসী চা, সর্দি-কাশিতে কোনটি বেশি উপকারী

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আদা নাকি তুলসী চা, সর্দি-কাশিতে কোনটি বেশি উপকারী
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশির সময় এক কাপ গরম আদা চা যেন তুলনাহীন। তাতে চা পাতা থাকা বা না থাক—গলায় গরম পানীয় পড়লেই আরামবোধ হয়। আবার সর্দি-কাশি কমাতে তুলসীর গুরুত্বও কম নয়। আগেকার দিনে জ্বর, সদি-কাশিতে মা-দাদিরা ছোট বড় সবাইকে তুলসীর রস খেতে দিতেন।
এই সময়ে অনেকে তুলসী দিয়ে চা তৈরি করেন। এটিও গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে উপকারে দেয়। তবে আদা নাকি তুলসী, কোনটি বেশি উপকারী, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।চলুন, জেনে নেওয়া যাক— আদা না তুলসী আদা চা : পাবমেডে প্রকাশিত ২০২১ সালে আদার গুণাগুণ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, আদায় থাকা জিনজেরোলে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। এটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবেও কাজ করে। ফলে ঠাণ্ডা লেগে গলা খুসখুস করলে, কাশি হলে আদা দারুণ কাজ দেয়। তা ছাড়া, গা-বমি ভাব কাটাতেও আদা অব্যর্থ।হজমকারক উপাদান রয়েছে এতে। পেট ফাঁপা, হজমের সমস্যাতেও আদা চা উপকারী। তুলসী চা : পাবমেডে ২০১৪ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ভিটামিন, সি-তে ভরপুর তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে লড়াইয়ের ক্ষমতা রয়েছে এই ভেষজে। সর্দি-কাশিতে তুলসী চা-ও দারুণ উপকারী।তুলসী চা নিয়ম করে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়।বর্ষাকালে ভাইরাল, ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত তুলসী চা খাওয়া ভালো। তুলসীপাতা মুখগহ্বরের জীবাণু তাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে মুখের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয়। তাতেই কমে দুর্গন্ধ। সর্দি-কাশি বাড়লে অনেক সময়ে তুলসীপাতা খেতে বলা হয়। এই পাতায় এমন কিছু উপাদান আছে, যাতে রয়েছে ফুসফুসের স্বাস্থ্যরক্ষা করার ক্ষমতা। কোনটি বেশি উপকারী তুলসী ও আদা—পুষ্টিগুণ, উপকারিতায় কেউ কারো চেয়ে কম নয়। বর্ষার রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে আদা ও তুলসী—দুটিই সহায়ক। বর্ষা হোক বা শীত—আচমকা ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা, কাশি হলে আদা চা স্বস্তি দিতে পারে। তবে তুলসীতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা। ফলে এই ভেষজ ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। বর্ষায় নিয়মিত তুলসী চা খেলে, সর্দি-কাশি বা ছোটখাটো সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে। কিভাবে বানাবেন অনেকে চায়ের মধ্যে আদা ও তুলসী পাতা ফেলে ফুটিয়ে নেন। তবে যথাযথ উপকারিতা পেতে হলে চা পাতা বাদ দিয়ে শুধু আদা থেঁতো করে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। একই নিয়ম তুলসী চায়ের ক্ষেত্রেও। তবে উপকারিতার কথা ভাবলে আদা ও তুলসী পানিতে একসঙ্গে ফুটিয়ে, সেই চা-ও খাওয়া যায়।মনে রাখা দরকার উপকারী হলেও, কোনোটি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। দিনে বড়জোর এক থেকে দুইবার আদা বা তুলসী চায়ে চুমুক দেওয়া যেতে পারে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন