১৪ অক্টোবর ২০২৫

বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  শৈশব হলো শারীরিক, মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এটিই তাদেরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। সর্দি, কাশি, জ্বর, বদহজমের মতো সমস্যাগুলো বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এর প্রধান কারণ হলো দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা।বাজারের রাসায়নিক ওষুধের চেয়ে ঘরোয়া উপায়গুলো বেশি নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়। সর্দি-কাশির জন্য কার্যকরী উপায় হলো তুলসী, আদা, দারচিনি ও কালো মরিচ। সপ্তাহে দুবার এই ক্বাথ হালকা গরম করে খাওয়ালে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হলুদ দুধ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক।প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ালে শরীর শক্তিশালী থাকে।আয়ুর্বেদে অনেকগুলো উপায় বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো চ্যবনপ্রাশ। চ্যবনপ্রাশে আমলকী, অশ্বগন্ধা, গুড়, ঘি ইত্যাদি ঔষধি গাছপালা থাকে, যা শরীরের শক্তি বাড়ায়।এ ছাড়া গুড় শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাচ্চাদের দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কারণ ঘুম শরীরের পুনর্গঠন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন খেলাধুলা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো বা যোগব্যায়ামের মতো শারীরিক কসরত করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।বাচ্চাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস করানো উচিত, কাপড় সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। এ ছাড়া পড়াশোনার চাপ না দিয়ে, বাচ্চাদের ইতিবাচক পরিবেশ, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা প্রকৃতপক্ষে শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও সহায়ক। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন