১৪ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের ঘরের খবর যেভাবে পায় পাকিস্তান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
বাংলাদেশের ঘরের খবর যেভাবে পায় পাকিস্তান
  বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বাংলাদেশে পাকিস্তান সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে ৪ বছর আগে। এখন যিনি টি–টোয়েন্টি দলটির অধিনায়ক, সেই সালমান আগা তখন পাকিস্তান স্কোয়াডেই ছিলেন না। খুশদিল শাহ–মোহাম্মদ নওয়াজ ছাড়া চার বছর আগের সেই টি–টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান দলের কেউ নেই এবারের স্কোয়াডে। তবু পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের কন্ডিশন একেবারে অচেনা নয়। কারণ কী? প্রশ্নের উত্তরটা পাওয়া গেল আজ মিরপুরে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার সংবাদ সম্মেলনে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের একরকম মেলাই বসে। ওই সূত্রে এখানকার কন্ডিশন ভালোভাবেই জানা তাঁদের। পাশাপাশি পাকিস্তানের কোচিং স্টাফেও আছেন অতীতে বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ—ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডরমট এর আগে ছিলেন লিটন দাসদের দায়িত্বে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন ম্যাকডরমট। পাকিস্তানের ১৬ জনের স্কোয়াডে এমন ৯ জন ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা বিপিএলে খেলেছেন। ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস, সাইম আইয়ুব, ফাহিম আশরাফ, হোসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, আব্বাস আফ্রিদি ও আবরার আহমেদের কাছ থেকে বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে কি কথা হয়েছে—প্রশ্নের উত্তরে সালমান বলেছেন, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেওয়া। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের ইনপুট দিয়েছে, আমরা ওই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’ পাকিস্তান সম্প্রতি টি–টোয়েন্টি খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছে। দলটির বড় দুই তারকা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে নেই এ সংস্করণের দলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনেও উঠেছিল বাবর ও রিজওয়ানের প্রসঙ্গ। জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি খেলার ধরনে আক্রমণাত্মক মনোভাব আনার কারণেই কি ছিটকে গেছেন বাবর–রিজওয়ান? সালমানের উত্তর, ‘পাকিস্তানের জন্য তাঁরা বেশ ভালো করেছে। সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে খেলা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ, টি–টোয়েন্টি প্রতিবছরই বদলে যাচ্ছে, সত্যি বলতে প্রতি ছয় মাসেই বদলায়। আমরা এখন যেভাবে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। আমাদের এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তাঁরা খুবই ভালো আর রোমাঞ্চকর।’ তিন ম্যাচের এ সিরিজে সব কটি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। আগামীকাল প্রথম ম্যাচ। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা সাধারণত একটু কঠিন। এর মধ্যে টানা বৃষ্টিতে লম্বা সময় উইকেট ঢাকা ছিল। তবে গত দুই দিন ধরে আকাশে বেশ রোদ। কন্ডিশন যেমনই হোক, পাকিস্তান কি আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবে? সালমানের উত্তর, ‘আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলেছি। এভাবেই আমরা খেলতে চাই। কিন্তু কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখব কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন তেমন হয় (আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মতো), তাহলে আমরা খেলব। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ীই খেলব। আমাদের লক্ষ্য (মাঠের) গড়ের চেয়ে ১০–১৫ রান বেশি করা। যখন আমরা বল করব, তখন (প্রতিপক্ষ) দলকে গড়ের চেয়ে কমে আটকে রাখা।’ [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন