বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সাকিব আল হাসান কি আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন? সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে প্রশ্নগুলো বেশি শোনা গেছে, এটি তার অন্যতম। একই প্রশ্ন গতকাল শুনতে হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে মিরপুর স্টেডিয়ামে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব। গণ–অভ্যুত্থানের পরপর পাকিস্তান এবং ভারতে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে খেললেও দেশে ফিরতে না পারায় সাকিব এখন জাতীয় দলের বাইরে।
অক্টোবরে দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে চাইলে এ নিয়ে ঘটে যায় তুলকালাম কাণ্ড। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য দুবাই হয়ে দেশের পথে থাকা সাকিব ঢাকায় তাঁর বিরোধিতায় আন্দোলনের মুখে মাঝপথ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান।
এরপর সাকিবের নামের পাশে যোগ হওয়া একাধিক মামলাও তাঁর দেশে ফেরা এবং দলে ফেরাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। সাকিব বাংলাদেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে সাকিবের দলের ফেরার সম্ভাবনা আছে কি না, টি স্পোর্টসের এমন প্রশ্ন ছিল মির্জা ফখরুলের কাছে। জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক এই সদস্য বলেন, ‘সেটা সাকিবের ফর্মের ওপর নির্ভর করবে। তখন সে ক্রিকেটে থাকবে কি না সেটার ওপর নির্ভর করবে। আমি কখনোই খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতিকে আনতে চাইনি এবং বিশ্বাসও করি না। সুতরাং যে যোগ্য সে অবশ্যই আসবে।’
সাকিবের ফেরার প্রসঙ্গ সাম্প্রতিক সময়েও সামনে এসেছে। কদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, সাকিবকে আবার জাতীয় দলে খেলানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি। স্বয়ং বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি সাকিবের সঙ্গে কথা বলবেন।
যদিও খুব শিগগির যে সাকিব দলে বা দেশে ফিরবেন এমন আভাস নেই।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]