বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বর্ষার মৌসুমে শরীরে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এ সময়ে খুব সহজে ঠাণ্ডা, সর্দি, হাঁচি, কাশি লেগে যায়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে বর্ষার মৌসুমের এসব সমস্যা দূর করা যায় খুব সহজে।
বর্ষাকালে ইনফেকশন, অ্যালার্জি এড়াতে চাইলে প্রতিদিনের জীবনে কোন কোন ছোটখাটো নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন, জেনে নিন— বর্ষাকালে চেষ্টা করুন বৃষ্টিতে না ভিজতে।বিশেষ করে যাদের চট করে ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তারা একটু বেশিই সতর্ক থাকুন। যদি ভিজে যান তাহলে সম্ভব হলে ভেজা পোশাক পরিবর্তন করে নিন যত দ্রুত সম্ভব। বাইরে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা ও শুকনা পোশাক রাখুন।ভেজা জুতা-মোজা পরে থাকলেও বর্ষার মৌসুমে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি হতে পারে।তাই এই বিষয়েও সতর্ক থাকুন। বর্ষার জুতা পরতে পারেন সম্ভব হলে। কর্মক্ষেত্রে সম্ভব হলে অতিরিক্ত জুতাও রেখে দিতে পারেন।
এই সময়ে গোসলের পর ভালোভাবে চুল শুকিয়ে নিন।ভেজা মাথায় ফ্যানের তলায় শুয়ে পড়লে ঠাণ্ডা লেগে যাবে সহজে। হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন। একবার ব্যবহার হয়ে যাওয়া রুমাল পরিষ্কারের আগে আর ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার পোশাক পরুন। বিছানার চাদর, বালিশ-কুশনের কাভার পরিষ্কার রাখুন।যে ঘরে থাকছেন সেটাও যত সম্ভব পরিষ্কার রাখুন। তাহলে অ্যালার্জি হবে না। ইনফেকশনও এড়াতে পারবেন।
বর্ষার আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি থাকে। ঘরে যাতে ড্যাম্প না হয় সেদিকে নজর দিন। আলো-বাতাস ঘরে যাতে ভালোভাবে ঢুকতে পারে, তার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। দরজা-জানালা খুলে ঘরে আলো-বাতাস ভালোভাবে ঢুকতে দিন।
সর্দি-কাশি, বিশেষত হাঁচি হলে মাঝে মাঝে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। নাকে-মুখে-চোখে যত কম হাত দেবেন, ইনফেকশন তত কম ছড়াবে। এই বিষয়ে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যাদের সহজে ইনফেকশন হয়ে যায়, তারা বেশি খেয়াল রাখবেন।
মাঝে মাঝে হালকা গরম পানি খেলে গলায় আরাম পাবেন। এ ছাড়া স্টিম নিলে বন্ধ নাক খুলে যাবে সহজে। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নিজে নিজে ওষুধ খেতে যাবেন না। তার ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]