
চার হাজার বছরের পুরনো মমির পরিচয় পেল এফবিআই

বাংলা প্রেস
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: চার হাজার বছরের পুরনো একটি মিসরীয় সমাধি মন্দিরে লুটপাটের সময় মমির মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে লুটেরারা।এরপর এটি কার মাথা তা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছিল না। সম্প্রতি সেই রহস্য উদঘাটন করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এফবিআইয়ের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা
চার হাজার বছরের পুরনো মমিটির ডিএনএ নির্ণয় করতে সক্ষম হন। ফলে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় মমিটির। ১৯১৫ সালে এ সমাধিমন্দিরটিতে অনুসন্ধান করা হয়। সে সময়েই দেখা যায় অতীতে কোনো এক সময় এ স্থানে লুটপাট করা হয়। আর লুটেরারা মমির মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা এ মমির মাথার ব্যাপারে কোনোভাবেই নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। কারণ এ সমাধিমন্দিরটি যে ব্যক্তির তিনি একজন গভর্নর। তার নাম ডিজেহুতিয়েনখট। তবে এ বিচ্ছিন্ন মাথাটি সে ব্যক্তির নাকি অন্য কারো তা বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের একটি জাদুঘরে সে সমাধিমন্দিরটির সব সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এতদিন রাখার পর এবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা মস্তকটির পরিচয় উদঘাটনে সচেষ্ট হয়।
এফবিআই বিশেষজ্ঞরা মমির দাঁত থেকে শেষ পর্যন্ত ডিএনএ নির্ণয় করতে সক্ষম হন। তারা জানান, এটা পুরুষের মমি। অর্থাৎ সেই গভর্নরেরই মাথা। অন্য কারো নয়। অতীতে ডিএনএ প্রযুক্তি এতটা উন্নত ছিল না। এমনকি হাজার বছরের পুরনো মমি থেকে ডিএনএ নির্ণয়ের সুবিধাও সেভাবে ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। এতে মমির ডিএনএ বিজ্ঞানীরা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করতে পারছেন।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





