বাংলাপ্রেস ডেস্ক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি থেমে সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছে ঢাকার আকাশে। বেশ লম্বা সময় পর ঘরের মাঠে সিরিজ—গণমাধ্যমকর্মীদেরও তাই শুক্রবার দুপুরে সরব উপস্থিতি মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। বেলা দুইটায় বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের চিত্র ধারণ করার জন্য তৈরি ক্যামেরার লেন্সও।
কিন্তু এর মধ্যেই বেলা দুইটায় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুশীলনে আসছেন না কোনো ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক মাসের বেশি সময়ের সফরের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে বিশ্রামকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা।
এমন খবর শোনার পর সাংবাদিকদের অপেক্ষা শুরু হয় সন্ধ্যা ছয়টায় পাকিস্তানের অনুশীলন শুরু হওয়ার। কারও কারও কণ্ঠে আফসোস ছুটির দিনেও দুপুরে মাঠে চলে আসার—আগামী কয়েক ঘণ্টা করার মতো তেমন কিছুই যে নেই।
তাঁদের অপেক্ষা অবশ্য লম্বা হলো না খুব একটা—হুট করেই শুরু হলো হুড়োহুড়ি। ক্যামেরার বন্ধ করা লেন্স চালু হলো আবার। তাঁদের লক্ষ্য মোহাম্মদ নাঈম। প্রায় তিন বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি দিয়ে দলে ফিরেছিলেন। প্রথম ম্যাচে সুযোগ মিলেছিল একাদশেও।
কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে একাদশে ফেরার পর তাঁর ব্যাট তেমন আলো ছড়াতে পারেনি। চারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৯ বলে করেছেন ৩২ রান। বাংলাদেশ ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে ৭ উইকেটে হারের পর নাঈমকে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে রাখা হয়নি। বাইরে থাকেন শেষ ম্যাচেও।
নাঈমের লড়াইটা তাই বাকিদের চেয়ে একটু বেশি। সবার মতো ভ্রমণ ক্লান্তি হয়তো তাঁরও আছে। কিন্তু একাদশে ফিরে আসার তাড়নায় নাঈম শুক্রবার অনুশীলনে ছুটে এসেছেন একা। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিন থ্রোয়ার। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের অনুশীলনে নাঈম ব্যাট করেছেন তাঁদের থ্রো করা বলে। মাঝে গরমের জন্য বিরতি দেওয়ার আগে ও পরের অনুশীলনে নাঈমের মন্ত্র একটিই—বল দেখো আর মারো। যেদিকেই বল এসেছে, নাঈম কেবল মারতে গেছেন। কখনো টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি, তবু নাঈম চালিয়ে খেলা বন্ধ করেননি।অল্প গতির থ্রোয়ারের বলে নাঈম জোরের সঙ্গে শট খেলার চেষ্টা করবেন, ব্যাপারটা নতুন নয়। তবে নিজের শট রেঞ্জ বাড়াতে আর বাউন্ডারি হাঁকাতে তাঁর যে মরিয়া ভাব, সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অনুশীলনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেলে তা যেন ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন, নাঈমের চেষ্টা হয়তো সেটিই।
কেন এই অনুশীলন? সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাঈম জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন থেকেই অনুশীলন করতে এসেছেন আজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারে ব্যাট করলেও একজন ওপেনার হিসেবেই এই প্রস্তুতি বলে মন্তব্য তাঁর, ‘এখন পর্যন্ত যত দিন খেলেছি, ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। তো ওই মানসিকতা নিয়েই (অনুশীলন) করলাম। কিন্তু মাথায় এটাও থাকে যে... এমন না যে, সেট হওয়ার পর মাঝের ওভারে খেলিনি।’জাকের আলীর চোটের কারণে শ্রীলঙ্কায় চারে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে নাঈম বলেন, ‘হুট করে চার নম্বরে নামলে কীভাবে খেলতে হয় বা মিডল অর্ডাররা কোন চ্যালেঞ্জ বেশি মোকাবিলা করে, ওই জিনিসটা সাধারণত আমার জানা থাকে না। বাইরে থেকে অনেক সময় সহজ মনে হয়। এখন খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। পুরোপুরি ভিন্ন একটা জায়গা। সব কিছু মিলিয়ে সব জায়গার ট্রেনিংই করি। তবে এখন যেটা ছিল, পুরোপুরি নিজের প্রস্তুতির জন্যই ছিল।’
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান বাদে বাংলাদেশ দলের বাকি ক্রিকেটাররা আজ বিশ্রামে। রিশাদের মতো দুয়েকজনকে অবশ্য মিরপুরের একাডেমিতে দেখা গেছে। তবে তাঁরা অনুশীলনে নামেননি।
বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি > এস পি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]