বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ও খনিজ খুবই জরুরি। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের মাত্রাও কমে যায় অনেকেরই। ভিটামিনের অভাব হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে, ক্লান্তি-দুর্বলতার মতোও লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কমে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তিও।আর এ কারণে তারা প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজের পাশাপাশি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন।
তবে চিকিৎসকরা এ সাপ্লিমেন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভিটামিন ও খনিজ যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী, তেমনই তা ক্ষতিকরও হতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাত্রায় সাপ্লিমেন্ট শরীরে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।কোন সাপ্লিমেন্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
ভিটামিন এ
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন এ। কিন্তু এই ভিটামিনই যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়, তখন তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, ১৯ বছরের ওপরের পুরুষদের জন্য দিনে ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ যথেষ্ট। নারীদের জন্য দরকার ৭০০ মাইক্রোগ্রাম।
ডিম, দুধ, কুমড়া, গাজর, পালংশাকসহ বিভিন্ন খাবারেই এই ভিটামিন পাওয়া যায়। আদৌ এই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কি না, না জেনেই নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট খেলে সমস্যা হতে পারে। বমিভাব, মাথা ব্যথা, অস্বস্তির মতো লক্ষণ হতে পারে, এমনকি লিভারের ক্ষতির আশঙ্কাও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি-এর কারণে হাড়ের ব্যথা বা ক্ষয় দেখা দেয়। সে কারণে কাঁধে, কোমরে, হাঁটুতে ব্যথা হলেই অনেকে কোনো কিছু না ভেবে ভিটামিন ডি খাওয়া শুরু করেন।কিন্তু আদৌ ভিটামিন ডি-র ঘাটতি রয়েছে কি না, বোঝা দরকার। নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট খেলে, শরীরে ক্যালসিয়াম জমতে পারে। তা থেকেই হতে পারে হাইপারক্যালসেমিয়ার মতো সমস্যা।
এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতি মিলিলিটারে ২০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি থাকা দরকার। কিন্তু তা যদি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়, তবে শরীরে ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে। তা থেকেই হতে পারে হাইপারক্যালসেমিয়া। এর ফলে ধমনীতে সেই ক্যালসিয়াম জমে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো হার্টের অসুখ হতে পারে। এতে শরীরের প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে কিডনিতেও।
আয়রন
আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। তখন আয়রন ট্যাবলেট দেন চিকিৎসকরা। আবার দৈনন্দিন নানা খাবারেও এই খনিজ মেলে। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, ১৯ বছরের বেশি বয়সের পুরুষের দৈনিক ৮ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের দরকার পড়ে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দরকার হয় আরো একটু বেশি। ২৭ মিলিগ্রাম।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনের পর দিন আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেলেও শরীরে তার খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আয়রন শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রন ট্যাবলেট খেলে তা জমে যেতে পারে। তার ফলে বিকল হতে পারে প্রত্যঙ্গ।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]