বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস হলে দৃষ্টিশক্তি প্রভাবিত হতে পারে! চোখে ঝাপসা দেখা, চোখে ব্যথা, চোখে লালচে ভাব, চোখের সামনে কালো বিন্দু বা রেখা দেখা এবং চোখের পলক ফেলতে সমস্যা হতে পারে। এমন সব সমস্যা দেখে দিলে দ্রুত চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হতে পারে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ!
ডায়াবেটিস রেটিনার ক্ষতি করতে পারে এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ছানি ও গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এই ঝুঁকি কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
কোন কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন
ডায়াবেটিক রোগীদের চোখে নিম্নলিখিত ৫টি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চলুন, সেগুলো জেনে নেওয়া যাক—
যেমন চোখে ঝাপসা দেখা ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে না থাকার কারণে হতে পারে।চোখের সামনে কালো বিন্দু বা রেখা দেখা দিলে সতর্ক হবেন। চোখে যদি কালো বিন্দু বা রেখা দেখতে পান, তাহলে বুঝতে হবে রেটিনার ক্ষতি হচ্ছে, যা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ হতে পারে।
চোখে লালচে ভাব আসা বা ব্যথা করলে ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত চোখের সমস্যার কারণে হতে পারে। ফ্লুরোসেন্ট আলো দেখার মতো সংবেদনশীল চোখ। অর্থাৎ হঠাৎ করে চোখে আলোর ঝলকানি দেখা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে।
চোখের পলক ফেলতে সমস্যা হলে সেটাও একটি বড় লক্ষণ বলা যায়।দৃষ্টিশক্তির অন্যান্য সমস্যাও ডায়াবেটিসের কারণে হতে পারে, তাই চোখের পলক ফেলতে সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কেন এই লক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ
ডায়াবেটিসের কারণে চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো গুরুতর রোগের কারণ হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন, তাহলে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা টা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিস থাকলে প্রতি বছর একবার চোখের পরীক্ষা করানো জরুরি।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিনিয়ত এটি পরীক্ষা করতে থাকতে হবে এবং খাবারদাবার নিয়ে একটু সংযত থাকতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ডায়াবেটিক চোখের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাছ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং তাজা ফল ও শাক-সবজি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না এবং ডায়াবেটিসের জন্য তো অতি আবশ্যক।ডায়াবেটিক রোগীদের সব সময় বলা হয়, তারা যেন অন্ততপক্ষে দিনে দুইবার হাঁটাচলা করেন বা ব্যায়ামের মধ্যে থাকেন। তাহলে এতে ডায়াবেটিস অনেকটা কন্ট্রোলে থাকে। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]