১৩ অক্টোবর ২০২৫

ডায়াবেটিসে আলু খাওয়া কতটা নিরাপদ?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ডায়াবেটিসে আলু খাওয়া কতটা নিরাপদ?
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  আলু আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় উপাদান। সিঙ্গাড়া, পরোটা, ভাজি কিংবা তরকারি প্রায় সব খাবারেই থাকে আলুর উপস্থিতি। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কি আলু খাওয়া নিরাপদ? চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিক রোগীদের আলু যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আলু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।মাঝে মধ্যে অল্প পরিমাণে খাওয়া গেলেও, প্রতিদিন আলু খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। আলু ও রক্তে শর্করার সম্পর্ক আলুতে উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা খাওয়ার পর শরীরে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। ফলে এটি দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে, যা ডায়াবেটিসের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ডায়াবেটিসে আলু খাওয়ার ঝুঁকি ১। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে ২। ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে ৩।হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ৪। ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে আলুর বদলে কী খাবেন? চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারে কম কার্ব ও উচ্চ ফাইবার যুক্ত সবজি রাখা উচিত। যেমন: সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, মেথি, সরিষা পাতা ক্রুসিফেরাস সবজি: ব্রকলি, ফুলকপি তাজা সবজি: টমেটো, শসা শস্য: ব্রাউন রাইস, ওটস তিতা সবজি: করলা, পাটশাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধুমাত্র আলু এড়িয়ে চলাই যথেষ্ট নয়। সুগারযুক্ত পানীয়, মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন কিছুটা সময় শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।নিয়মিত ঘুম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন