১৫ অক্টোবর ২০২৫

ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে পালক বাবা গ্রেফতার

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে পালক বাবা গ্রেফতার

মামুনুর রশিদ (মিঠু), লালমনিরহাট থেকে : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার দায়ে ইয়াকুব আলী (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। ইয়াকুব পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দুই মেয়েসহ বিধবা মিনু বেগমকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন ইয়াকুব আলী। বিয়ের পর এক মেয়ের বিয়ে দেন এবং অপর মেয়ে বিথি আক্তার (১৬) ও স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন ইয়াকুব আলী। ঘটনার দিন ২০ এপ্রিল রাতে স্ত্রী মিনু বেগমকে মারধর করে সংজ্ঞাহীন করে ইয়াকুব। এ সময় ইয়াকুব আলী পাশের রুমে মেয়ে বিথি আক্তারকে ধর্ষণ করেন।

এদিকে মিনু বেগমের জ্ঞান ফিরলে মেয়ের কান্না শুনে কারণ জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বিথি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ওই রাতেই বিথির মৃত্যু হয়। পরে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। এদিকে মর্গের চিকিৎসকরা আত্মহত্যার পেছনে ধর্ষণের আলামত পেয়ে রংপুর সিআইডিতে প্রতিবেদন পাঠান। রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিআইডি পাটগ্রাম থানাকে গত শনিবার চিঠি পাঠিয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা নিতে বলেন।

ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পাটগ্রাম থানা পুলিশ মৃত বিথি আক্তারের বাবা ইয়াকুব আলী ও মা মিনু বেগমকে গত রোববার থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে বিথির মা মিনু বেগম মেয়েকে ধর্ষণের পুরো ঘটনা খুলে বললে তাৎক্ষণিক মামলা নিয়ে স্বামী ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার দেখান থানা পুলিশ।

পাটগ্রাম থানার ওসি মনছুর আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসকদের রিপোর্ট ও মৃত মেয়ের মায়ের অভিযোগে তার সৎ বাবা ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুরুত্বসহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন