১৪ অক্টোবর ২০২৫

ধুনটে বকচর মাছের মেলায় হাজারো মানুষের ঢল

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ধুনটে বকচর মাছের মেলায় হাজারো মানুষের ঢল

ইমদাদুল হক ইমরান ধুনট (বগুড়া) থেকে : শত বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্য বকচর মাছের মেলা। বাংলা সালের হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বুধবার বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউডনগর-কোদলাপাড়া এলাকায় এ মেলার আয়োজন করা হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

মেলায় সব বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের ¯্রােত নেমেছে। মেলার প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই স্বজনদের দাওয়াত করেছেন স্থানীয়রা। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছেন নতুন জামাই-বউ। মেলার প্রধান আকর্ষণ মাছ। তবে এর সাথে বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। সব মিলে হাজারো মানুষের প্রাণের মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী বকচর মেলা। বছরের এ সময়টাতে এ অঞ্চলের মেয়েরা স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি আসেন। পরে এ মেলাতে জামাইরা আসেন মাছ-মিষ্টি কিনতে। মেলায় ওঠা বড় আকারের মাছ ও মিষ্টি কিনে জামাই ফেরেন শ্বশুরবাড়ি। সেই মাছ-মিষ্টিতে এলাকার প্রতি বাড়িতে চলে জামাই উৎসব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মেলামুখি হাজারো মানুষের ¯্রােত। মেলার সিংহভাগ জায়গা মাছ ব্যবসায়ীদের দখলে। এর মধ্যে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। ট্রাকে ট্রাকে মাছ আড়তে নামছে আর খুচরা ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে দোকানে ভরছেন। তবে এবার মেলায় অন্যান্য মাছের চেয়ে বাঘাইড় মাছের আমদানী ও কদর বেশী। মেলায় ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৫০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ আমদানী হয়েছে। মাছের আকার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে এই বাঘাইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে। মেলায় আসা আবুল হোসেন জানান, প্রতিটি মেলাই বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস- ঐতিহ্যের অংশ। বকচর মেলার সঙ্গেও সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। তাই এ মেলা দেখতে তিনি বগুড়া শহরে থেকে এসেছেন। একদিনের মেলায় এতো মানুষের সমাগম তিনি অতীতে কোনো মেলায় দেখেননি। অন্য কোনো মেলায় এত বড় বড় মাছ দেখার সৌভাগ্যও হয়নি তার।

আব্দুল খালেক, আবু তালহা, হারুনুর রশীদসহ মেলায় আসা কয়েকজন জানান, মাত্র একদিনের মেলায় এতো মানুষের সমাগম ঘটে তা ভাবতেও পারা যায় না। অথচ এ মেলায় সেটিই ঘটেছে। যা স্বচক্ষে দেখা হলো। পাশাপাশি মাছের মেলাখ্যাত বকচর মেলায় এসে বড় বড় মাছ দেখার সঙ্গে সাধ্যানুসারে মাছও কেনা হলো বলে তারা জানান।

মেলার মাছ ব্যবসায়ী সিরাজগঞ্জের আলহাজ্ব আব্দুস ছামাদ জানান, এবারের মেলায় যমুনা নদী ও চলন বিলের বড় বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ পুকুরে চাষ করা মাছের প্রচুর আমদানি ঘটেছে। তবে ৭-৮কেজি ওজনের মাছের চাহিদা বেশি। ক্রেতার চাহিদা বুঝে ব্যবসায়ীরা মেলায় এই ওজনের মাছের বেশি আমদানি করেছেন।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন