১৫ অক্টোবর ২০২৫

ধুনটে ফসলি জমির বালু উত্তোলন বন্ধ করলো বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ধুনটে ফসলি জমির বালু উত্তোলন বন্ধ করলো বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি

ইমদাদুল হক ইমরান, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তিন ফসলি জমিতে খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন অবশেষে বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসি। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলা সদরের মাটিকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হুকুমআলী-সোনামুখী বাইপাস রোডের পাশে মাটিকোড়া গ্রামে প্রায় ৫ বছর আগে ৪ বিঘা আবাদি জমি খুড়ে পুকুর তৈরী করেছিলো কৃষক ফরিদ উদ্দিন। ওই পুকুর সম্প্রসারনের নামে দুই সপ্তাহ আগে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি শুরু করে। একই সাথে ভূ-গর্ভস্থ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে আশপাশের জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ে।

ওই জমির চারপাশে রয়েছে নানা জাতের ফসলের ক্ষেত। বালু উত্তোলনে স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে বাইপাস পাকা সড়ক। এছাড়া পুকুরের পাড় ঘেষে রয়েছে কয়েকটি বসতঘর। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ২৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেয় মাটিকোড়া গ্রামবাসির পক্ষে স্কুলশিক্ষক এনামুল হক।

মাটিকোড়া গ্রামের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আবাদি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনে ভূমি ধসের উপক্রম হওয়ায় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়ে কাজ হয়নি। এ কারনে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামবাসি বৈঠক করে ফসলি জমির মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকালের দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাটিকোড়া গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, মাছ চাষের জন্য নিজের জমিতে পুকুর খনন করায় গ্রামবাসির কোন ক্ষতি হয়নি। তারপরও শত্রুতামুলক ভাবে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় গ্রামবাসির অভিযোগের ব্যবস্থা গ্রহনে বিলম্ব হয়েছে। তবে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার কাজটি গ্রামবাসির জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। এ ধরনের কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসা উচিত।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন