১৪ অক্টোবর ২০২৫

এই শীতে বাজারে বাহারি ফল

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
এই শীতে বাজারে বাহারি ফল

বাংলাপ্রেস, ঢাকা : শিশির ভেজা ভোরে গুটি গুটি পায়ে চাদর মুড়ে শীত চলে এসেছে বছর ঘুরে। অগ্রহায়ণের নতুন ফসলের ভেজা পিঠা কিংবা ভাপা পিঠার মিষ্টি ঘ্রাণে তাই মুখরিত হচ্ছে চারপাশ। কখনও আলসেমি ভরা ঘুম চোখে ব্যস্ততাকে সঙ্গী করে নিত্যদিনের যাত্রা শুরু আবার কখনও একটু উষ্ণতা পেতে নানা প্রস্তুতি। শীত যেভাবেই আসুক প্রকৃতি তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে তার নিজ আঙ্গিকে। শীত যেন প্রকৃতির এক নতুন রূপ।

নানা ধরনের বৈচিত্র্যতায় আর নতুনত্বে শীত অন্যান্য ঋতু থেকে আলাদা। ফ্যাশন থেকে শুরু করে তাই নিত্যদিনের খাবার তালিকাতেও এর উপস্থিতি চোখে পড়ে। শীতের এ সময়ে খাবার তালিকাতে আসে বেশ পরিবর্তন। খাবার তালিকার কেবল শাক সবজি নয় ফলের দিক থেকে শীতের এ সময়ে দেখা মেলে নানা ধরনের মুখরোচক ফলের। শীতের এ সময়ে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফলের সমারোহ অনেকাংশে বেশি।

এ ঋতুতে দেখা মেলে বরই, জলপাই, আমলকি, সফেদা, কমলালেবু, আপেল আর ডালিমের। এসব ফলে আছে ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘এ’, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ‘ই’, এন্টিঅক্সিজেন, ফাইবারসহ আরও অনেক ভিটামিনের। এসব মৌসুমি ফল কেবল মুখরোচকই নয়, এতে থাকা নানা ভিটামিন এবং মিনারেলসহ ফাইবার দাঁত, মাড়ি মজবুত করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এসব ফলের মধ্যে থাকা কমলালেবু যেমন ক্যান্সারের সেল শরীরে তৈরি হতে দেয় না তেমনি এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ করে। কিডনি সমস্যা থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য, ব্লাড সুগার, নিয়ন্ত্রণসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে শীতকালীন ফল সফেদা। এছাড়া হার্ট সুস্থ রাখতে ডালিম অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

যারা শীতের সময়ে রুক্ষ ত্বক নিয়ে চিন্তিত তারা অনায়াসে খাবার তালিকাতে রাখতে পারেন আনার। এ আনার আপনার ত্বক যেমন সুস্থ রাখবে তেমনি রুক্ষতা থেকে বাঁচাবে। যাদের খাবারে অরুচি তারা খাবার তালিকাতে রাখতে পারেন এই সময়ের মৌসুমি ফল আমলকি। এসব ফল আপনাকে যেমন সুস্থ রাখবে তেমনি শীতকালীন নানা রোগ থেক দূরে রাখবে, এতে করে আপনি থাকবেন সুস্থ এবং প্রাণবন্ত সব কাজে।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন