১৪ অক্টোবর ২০২৫

ফাস্ট ফুডের আসক্তিতে বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ফাস্ট ফুডের আসক্তিতে বাড়ছে নানা রোগের ঝুঁকি

জীবনযাপন ডেস্ক : শহুরে শিশু-কিশোররা বেড়ে উঠছে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ আর উচ্চ-রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি নিয়ে। পুষ্টিবিদ আর চিকিৎসকদের মতে, এর অন্যতম কারণ ফাস্টফুড। মুখরোচক এই খাদ্যের কারণে বাড়ছে নানা অসুখ-বিসুখ।

সমস্যা সমাধানে ফাস্টফুড বাণিজ্যের নীতিমালা তৈরীর আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বজুড়ে খাবারের জনপ্রিয় সংস্কৃতি মানেই ফাস্ট ফুড। দেশে এই খাবার এক সময় উচ্চবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, এখন তা জায়গা করে নিয়েছে মধ্যবিত্তের খাদ্য তালিকায়ও। স্যান্ডউইচ, বারগার, পিজা, চিকেন ফ্রাইয় কিংবা কোমল পানীয়ের মতো খাবারে রীতিমতো আসক্ত শহুরে শিশু কিশোররা।

এসব খাবার দেখতে বা খেতে যতই আকর্ষণী আর মুখরোচক হোক না কেন, পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কাছে এগুলো হাই ক্যালোরি আর ফ্যাটসমৃদ্ধ। যা স্থুলতা বা মোটা হয়ে যাবার অন্যতম কারণ। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে গেলো বছর প্রকাশিত এক গবেষণাতেও, বাংলাদেশের শহুরে শিশু-কিশোরদের মোটা হওয়ার আশঙ্কাজনক তথ্য পাওয়া গেছে। পুষ্টিবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের মতে, খেলাধূলা সুযোগ কমে যাওয়ার সাথে পরিবর্তিত খাদ্যাভাস শিশু কিশোরদের ঠেলে দিচ্ছে ডায়াবেটিকস, উচ্চ-রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকির দিকে।

শুধু বাংলাদেশ নয় বহু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশেও এই ফাস্টফুড খাবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, চাইলেই এখন শিশু কিশোরদের এ থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তবে এই খাবারগুলো পরিবেশনের ধরণ পাল্টানো সম্ভব। অনেক উন্নত দেশ এই পথে হাঁটছে। একইসাথে খেলাধূলা ও ঘরে তৈরি অন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহ গড়ে তোলার তাগিদ পুষ্টিবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের। বাংলাদেশে ফাস্ট ফুড বাণিজ্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালার অধীনে নেই। আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্যর কথা বিবেচনায় রেখে এই বাণিজ্যকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরির ও বিপণনে বাধ্য করার তাগিদ দিয়েছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন