১৪ অক্টোবর ২০২৫

ফেসবুক-ইউটিউবে ভাইরাল ‘শিরাজি ভিলেজ ভ্লগ’

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ফেসবুক-ইউটিউবে ভাইরাল ‘শিরাজি ভিলেজ ভ্লগ’
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ‘শিরাজি ভিলেজ ভ্লগ’ ফেসবুক-ইউটিউব চ্যানেলের কথাই বলা হচ্ছে। পাকিস্তানের শিরাজ নামের বছর সাত-আট বয়সের এক শিশু গ্রামের বিভিন্ন দৃশ্যের ভ্লগ করেন। ঘুরে ঘুরে গ্রামের সাধারণ জীবন ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ভিডিওতে। আর সরল উপস্থাপনায় আধুনিক এই সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে অল্প সময়েই নিজ দেশ ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয়ও ক্ষুদে ইউটিউবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন শিরাজ। এ ক্ষুদে তারকার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় চার লাখ (৩ লাখ ৯৭ হাজার)। ২০২২ সালের ২১ মে ইউটিউব চ্যানেল খুললেও মাস খানেক আগে প্রথম ভিডিও পোস্ট করা হয় ‘শিরাজি ভিলেজ ভ্লগ’ চ্যানেলে। এ পর্যন্ত মোট ২২টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে চ্যানেলটিতে এবং মোট ভিউ হয়েছে ৭৯ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি। আর ফেসবুকে ফলোয়ার রয়েছে ৫ লাখ ৯১ হাজার। এই ক্ষুদে তারকাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস। প্রতিবেদন অনুযায়ী এবার তাহলে ইউটিউবার শিরাজ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। শিরাজ ছোট্ট একজন শিশু হলেও পর্দায় তার সহজ এবং শক্তিশালী উপস্থাপনা ও চিত্তাকর্ষক দর্শকদের আটকে রাখার মতো। কিছুটা দুষ্টু স্বভাবের হলেও হৃদয়বান। তাকে গ্রামের চারপাশে দৌড়াতে, আশপাশের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে ও গ্রামের সৌন্দর্য ধারণ করতে দেখা যায় ভিডিওতে। মাঝে মাঝে কিছুটা কষ্টও করতে দেখা যায়। সবসময় মুখে হাসি থাকে তার। যা ভিডিওকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। কখনো কখনো তার কিছু পদক্ষেপ বিভ্রান্তিকর মনে হলেও পরে বোঝা যায়, সে ঠিক ছিল। শিরাজ তার ছোটবোন মুসকানের সঙ্গে খুবই বন্ধুসুলভ। মুসকানও যেন ভিডিওর জন্য ভাই শিরাজের মতো যোগ্য। কেননা, স্বাভাবিকভাবে তার মতো অল্প বয়সী মুসকানের যেখানে উদ্বিগ্ন ও অপ্রস্তুত থাকার কথা, সেখানে সে কিছুই ভয় পান না। অধিকার আদায়ে অটল এবং বিপদ হবে ভেবে ভাই শিরাজ তাকে সতর্ক করলেও তাতে পাত্তা দেন না মুসকান। সে নিজের মতো করে এগিয়ে যেতে থাকেন। তুলতুলে গোলাপি গালে সবসময় হাস্যোজ্জ্বল থাকেন ছোট্ট মুসকান। শিরাজের বয়স কম হলেও দর্শক ধরে রাখতে জানেন। জটিল বিষয়ের মধ্যেও তারা আনন্দ খুঁজে বের করতে পারেন। ভিডিওতে ছাগলের সঙ্গে খেলা করা এবং তাড়া করা, তুষার খাওয়া, বিরক্তিকর সেতু পার হওয়া, পাহাড়ে উঠতে দেখা যায় তাদের। একঘেয়েমি এড়ানোর জন্য জীবনকে কীভাবে সহজ করা যায়, সেটি তার ভিডিওতে স্পষ্ট। শিরাজ আশপাশের পরিবেশকে দারুণভাবে ধারণ করতে পারেন এবং তা দেখে সব দর্শকই অবাক হয়ে থাকেন। মনে হয় মনোরম গ্রামটি যেন রূপকথার গল্প থেকে বের হয়ে এসেছে। তুষারে ঢাকা পাহাড় এবং ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা। যদিও এটা স্পষ্ট, গ্রামবাসীর যথেষ্ট সম্পদের অভাব রয়েছে। প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো অবশ্যই সমাধান করা উচিত। এটাও স্পষ্ট, এলাকাটি মানুষের দ্বারা নোংরা বা ধ্বংসস্তূবে ভরা নয়। গ্রামটি দেখার মতো সুন্দর। শিরাজের আচার-ব্যবহার প্রকৃতিগতভাবে চমৎকার। সে তার গ্রামের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরে থাকেন। প্রায়ই বিভিন্ন মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবের ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় তাকে। সেসব ছড়িয়ে দেয়ার জন্য শ্রোতাদের কাছে অনুরোধও করেন। যাতে গ্রামের মানুষরা কিছু বিশেষ সুবিধা পেতে পারে। বিপি/টিআই  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন