বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বাগান করা অনেকেরই শখ, কিন্তু অনেক সময় গাছ ঠিক মতো বাড়ে না, পাতা হলুদ হয়ে যায় বা ফুল-ফল আসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে হতাশ হয়ে অনেকে গাছ লাগানোই ছেড়ে দেন। তবে চিন্তার কিছু নেই। দামি সার না কিনেও রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া কিছু উপাদান দিয়েই আপনি গাছকে সুস্থ, সবুজ ও ফুলে-ফলে ভরিয়ে তুলতে পারেন।চলুন, জেনে নিই বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরোয়া ৫টি কার্যকর গার্ডেনিং টিপস।
লেবু-কমলার খোসা দিয়ে তৈরি জৈব এনজাইম
লেবু বা কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে, তা দিয়ে তৈরি করুন গাছের জন্য দারুণ একটি তরল সার।
যেভাবে বানাবেন: লেবু/কমলার খোসা, গুড় ও পানি ১:৩:১০ অনুপাতে এয়ারটাইট পাত্রে রেখে দিন। ৩ মাস পর, এক লিটার পানিতে ২ চামচ মিশিয়ে গাছে ব্যবহার করুন।উপকার: শিকড় মজবুত হবে, গাছের বৃদ্ধি বাড়বে। মাসে ১ বার ব্যবহার করুন।
ব্যবহৃত চা-পাতা
চা পাতা নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ, যা গাছের পাতা সবুজ রাখে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন : চা-পাতাগুলো ধুয়ে শুকিয়ে নিন (চিনি বা দুধ যেন না থাকে)।সরাসরি মাটিতে দিন বা পানিতে ভিজিয়ে ব্যবহার করুন।
উপকার: প্রতি ২০ দিনে একবার দিলে পাতা সবুজ ও সতেজ থাকবে।
রান্নাঘরের বর্জ্য দিয়ে কম্পোস্ট
ফলের খোসা, আলু-টমেটোর খোসা কয়েকদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ৩-৪ দিন পর ছেঁকে নিয়ে সেই পানি গাছে দিন।
উপকার: এটি গাছের জন্য প্রাকৃতিক সার, ফুল ও ফল আসা বাড়বে।
গোবর ও হলুদ মিশ্রণ
গোবর প্রাকৃতিক সার, আর হলুদ গাছকে রোগ থেকে রক্ষা করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: ১-২ দিন ভেজানো গোবরে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে গাছে দিন।
উপকার: গাছ রোগ প্রতিরোধী ও মজবুত হয়। ১৫ দিনে একবার দিন।
কলার খোসায় পটাশিয়াম
কলার খোসা ফুল-ফল বাড়াতে সাহায্য করে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন : খোসা টুকরো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করুন।
প্রতি মাসে একবার মাটিতে মেশান বা সরাসরি খোসাও পুঁততে পারেন।
গাছের যত্ন নিতে আলাদা খরচ বা কেমিক্যাল সার না ব্যবহার করেও আপনি রান্নাঘরের সহজ উপাদান দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে গাছকে সুস্থ রাখতে পারেন। শুধু নিয়মিত একটু যত্ন আর সচেতনতা থাকলেই আপনার বাগান ভরে উঠবে সবুজে, ফুলে ও ফলে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]