১৪ অক্টোবর ২০২৫

গাংনীতে আকষ্মিক শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
গাংনীতে আকষ্মিক শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রাব্বী আহমেদ, মেহেরপুর থেকে : গাংনীতে মাত্র ৪ মিনিটের আকষ্মিক শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন ফসল এবং টিনের ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

আজ রোববার ভোর রাত ৪ টা ৪০ মিনিটের সময় মাত্র ৪ মিনিটের প্রচন্ড শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কোদাইলকাটি, রাজাপুর গ্রামের উপর দিয়ে হঠাৎ আকাশে কোন মেঘ -ঝড় না থাকলেও সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবউদ্দীন আহমেদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।এসময় তার সাথে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অতি অল্প সময়ের স্মরণ কালের বড় বড় আকৃতির শিলা বৃষ্টির আঘাতে উঠতি ফসল ভূট্টা,গম,পটল, মসুরী, তামাক ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।এছাড়াও প্রচন্ড শিলাবৃষ্টির আঘাতে রাতে শত শত ঘুমন্ত পশু পাখি যেমন ,বক, শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, হাড়ি চাচাসহ বাঘডাসা মারা গেছে। হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগে টিনের ছাউনির ঘরবাড়ী একবারে ফুটো-ঝাজরা হয়ে পড়েছে।গরীব অসহায় দুঃস্থ পরিবারের লোকজন ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পরিবারের লোকজন নিয়ে মানবেতর বসবাস করছেন।

আকস্মিক দমক হাওয়ার সাথে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি নামে। পরে মাত্র ৪ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে ফসলসহ ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। আকম্মিক শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার কোদাইলকাটি,রাজাপুর গ্রামের কৃষকদের মাঠের উঠতি ফসল যেমন ভূট্টাক্ষেতের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া গম, পটল, মসুর ক্ষেতেরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি টিনের ছাউনির ঘর মোটা মোটা শিলাবৃষ্টিতে ফুটো হয়ে গেছে। ফলে গরীব অসহায় পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছ্।

কোদাইলকাটি,রাজাপুর,কুমারীডাঙ্গা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কোদাইলকাটির লিফাজউদ্দীন, মোজাম্মেল, মজিবর রহমান, মহরম , কাবের আলী, ইসলাম,জাহিদ,আজিজুল,বাবর আলী,ফকির মহাম্মদ,আব্দুল হামিদ, সামাদ আলী, রকিব, ওয়াজ , জামিরুল ,নজরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, কামাল হোসেন,ইয়াজ আলী,মোমিন। কোদাইলকাটি গ্রামের মেম্বর ছানোয়ার হোসেন জানান, আমার গ্রামের বেশীরভাগ লোক অভাবগ্রস্ত ,দীনমজুর, গরীব অসহায়।এদের অনেকেই দিন আনা দিন খাওয়া মজুর।প্রায় ৪০ টিনের ঘর শিলাবৃষ্টির আঘাতে সম্পূর্ণ ছিদ্র হয়ে গেছে।অনেক গরীব মানুষ অর্থের অভাবে ঘরবাড়ী মেরামত বা টিন ত্রয় করতে পারেনি। গ্রামের চাষী মিজানুর রহমান জানান, এবছর আকষ্মিক শিলাবৃষ্টিতে গ্রামের অনেক প্রান্তিক চাষীর শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে গেছে। বিশেষ করে বর্গা চাষীরা ৮/১০ হাজার টাকা বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন আবাদ করেছিল। অনেক চাষী সার ও কীটনাশক বাকীতে দোকান থেকে ক্রয় করেছিল। সেসব কৃষকের মাথায় হাত। কিভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না। চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব ঘর মেরামত করতে না পারলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ঝড়, বৃষ্টি, রোদে কষ্ট করতে হবে। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে সরকারীভাবে ঢেউটিন সরবরাহ ও আর্থিক সহযোগিতা করা না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনরাত ভিজে অনাহারে থাকতে হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের তালিকা করে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন