১৪ অক্টোবর ২০২৫

গোপনে লাদেন পুত্রের বিয়ে !

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
গোপনে লাদেন পুত্রের বিয়ে !

বাংলাপ্রেস অনলাইন: বিয়ে করল ৯/১১ মার্কিন হানার অন্যতম মূলচক্রী তথা প্রাক্তন আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হাজমা বিন লাদেন৷ সঙ্গিনী হিসাবে বেছে নিল, ওই ভয়ংকর জঙ্গি হানারই আরও এক মূলচক্রী ও হামলাকারী একটি বিমানের অপহরণকারী মহম্মদ আট্টার মেয়েকে৷ হাজমার বিয়ের সংবাদে সিলমোহর দিয়েছে লাদেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা৷ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান সূত্রের খবর, মার্কিন নজর এড়াতে, আফগানিস্তানেই কোনও গোপন ঠিকানায় সম্পন্ন হয়েছে এই বিবাহপর্ব৷ ২০১১-তে মার্কিন নেভি সিলের অতর্কিতে হানায় পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খতম হয় আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন৷ পাক সেনা ঘাঁটি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত একটি বিশাল বাড়িতে আত্মগোপন করে সে৷ তখন তার সঙ্গে ছিল তিন স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানরা৷ ওই হানায় প্রাণ যায় হাজমা বিন লাদেনের দাদা খালিদের৷ জানা গিয়েছে, হাজমা এখন আল-কায়েদার অন্যতম শীর্ষ নেতা৷ ৯/১১-র পর থেকেই বাবা ও দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমেরিকায় পালটা হামলার ছক কষছে সে৷ ২০১৬ থেকে প্রকাশ্যে এসেছে তার একাধিক হুমকি অডিও৷ যেখানে আমেরিকা-সহ পাশ্চাত্য দেশগুলিতে হামলার হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে তাকে৷ গত দু’বছরে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার ব়্যাডারে রয়েছে এই লাদেন পুত্র৷ প্রসঙ্গত, ৯/১১-তে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা করে দুটি বিমান৷ তারমধ্যে একটি হল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর ১১৷ যেটি অপহরণ করে মিশরের নাগরিক তথা, ওই হামলার অন্যতম মূলচক্রী মহম্মদ আট্টা৷ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে ধাক্কা মারে সেই বিমান৷ মৃত্যু হয় বিমানে সওয়ার ৯২ জন যাত্রী-সহ ১৬০০ জনের৷ আরও একটি বিমান ধাক্কা মারে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সাউথ টাওয়ারে৷ বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদী হামলা এটি৷ হামলার বীভৎসতার কথা ভাবলেই এখনও কেঁপে ওঠেন অনেকেই৷ এরপর থেকেই আমেরিকার সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয় লাদেন৷ দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজ চালান মার্কিন গোয়েন্দারা৷ অবশেষে ২০১১-তে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে খতম করা হয় এই সন্ত্রাসী নেতাকে৷

বাংলাপ্রেস/আর এল
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন