১৪ অক্টোবর ২০২৫

গরম চা পানে হতে পারে ক্যান্সার!

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
গরম চা পানে হতে পারে ক্যান্সার!

জীবনযাপন ডেস্ক: এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিয়ে অনেকেরই দিনের শুরু হয়। কাজের ফাঁকে, আড্ডায় এক কাপ চা ছাড়া আমাদের যেন চলে না। তবে অতিরিক্ত গরম চা পানে হতে পারে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

গবেষকরা দেখেছেন, যারা ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) চেয়ে বেশি গরম চা পান করেন এবং প্রতিদিন এমন গরম চা ৭০০ মিলিমিটারের বেশি পান করেন তাদের খাদ্যনালী ক্যান্সারের ঝুঁকি ঠাণ্ডা বা কম গরম চা পানকারীদের চেয়ে ৯০ শতাংশ বেশি।

যে কোনো গরম পানীয়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে গরম চা সবচেয়ে ক্ষতিকর। গলা থেকে পাকস্থলীর মধ্যে দিয়ে যখন চা নামে তখন এর গরম ক্যাফেইন খাদ্যনালীর গায়ে লাগতে থাকে। যা থেকে আলসার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ গোলেস্টানের ৫০ হাজার ৪৫ জনের ওপর ১০ বছর ধরে গবেষণাটি করা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা এই গবেষণায় নতুন করে ৩১৭ জনের খাদ্যনালীতে ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়েছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি ও গবেষণাটির প্রধান ডা. ফরহাদ ইসলামি বলেন, অনেকেই চা, কফি বা অন্যান্য গরম পানীয় পান করেন। তবে আমাদের প্রতিবেদন বলছে, অতিরিক্ত গরম চা পান করলে তা খাদ্যনালী ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

তাই গরম পানীয় পান করার আগে তা ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গবেষণার এই ফল বুধবার (১৯ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যান্সারে প্রকাশিত হয়।

এর আগেও এ বিষয়ে গবেষণা করা হয়। তখন গরম চা পানে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে আসে। তবে এবারের গবেষণায় নির্দিষ্ট করে ঠিক কত গরম চা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে তা উঠে এসেছে।

খাদ্যনালীর ক্যান্সারে বিশ্বের বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী, এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্যমতে, ২০১৯ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ হাজার ৭৫০ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৯০০ জন নারী খাদ্যনালী ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিপি/কেজে
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন