বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আমাদের মধ্যে অনেকেই ওজন কমানোর জন্য চিনির পাশাপাশি লবণ খাওয়াও ছেড়ে দেন কিংবা কমিয়ে দেন। হঠাৎ করে লবণ খাওয়া ছেড়ে দিলে কিংবা লবণ খাওয়ার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিলে, শরীর-স্বাস্থ্যের ওপর অনেক প্রভাব পড়তে পারে। এর মধ্যে বেশির ভাগটাই কুপ্রভাব।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক, হঠাৎ করে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে বা ছেড়ে দিলে, শরীরে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়, তেমনই হঠাৎ করে লবণ খাওয়া ছেড়ে দিলেও কিন্তু শরীরে দেখা দেবে অনেক সমস্যা।
আচমকা লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে যাবে, যা মোটেই ভাল নয়। রক্তে অস্বাভাবিক হারে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার এই বিষয়টিকে বলে হাইপোনাট্রেমিয়া। আর এই হাইপোনাট্রেমিয়ার ফলে মারাত্মকভাবে কম রক্তচাপ, অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারের সমস্য দেখা দেবে।হাইপোনাট্রেমিয়া এবং লো ব্লাড প্রেশার থাকলে মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। সর্বক্ষণ মাথা ভার লাগতে পারে। হঠাৎ করে লবণ খাওয়া ছেড়ে দিলে মাথা ঝিমঝিম ভাব, মাথা ঘোরানোর সমস্যাও লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া এর কারণে আপনার পেশিও দুর্বল হয়ে পড়বে।পেশি দুর্বল হয়ে গেলে হাঁটাচলা করার জোর পাবেন না আপনি। সব সময় হাত-পা দুর্বল লাগবে। মনে হবে শরীরে সাড়া পাচ্ছেন না। তাই আচমকা লবণ খাওয়া কমানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কিছু করতে যাবেন না।
বেশি লবণ খেলে কী হতে পারে
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে লবণ খেলে মাথার যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে পারেন। অল্প কিছু খেলেই মনে হতে পারে পেট ফেঁপে আইঢাই করছে। অতিরিক্ত লবণ খেলে শুধু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নয়, জটিল রোগ বাঁধবে আপনার হৃদযন্ত্রেও। তাই হার্টের অসুখ এড়াতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিন।শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় লবণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে কিডনির ওপর। বিকল হতে পারে কিডনি। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস মোটেই ভালো নয়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]