১৩ অক্টোবর ২০২৫

কফি পান কমালেই কেন জীবন্ত হয়ে ওঠে স্বপ্ন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
কফি পান কমালেই কেন জীবন্ত হয়ে ওঠে স্বপ্ন
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  ক্যাফেইন কমানোর কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকের স্বপ্নগুলো যেন হয়ে ওঠে অবিশ্বাস্যভাবে স্পষ্ট ও জীবন্ত। কারও কাছে তা রোমাঞ্চকর, আবার কারও কাছে খানিকটা ভৌতিকও বটে। কিন্তু আসলেই কি কফি কমানো আর স্বপ্ন দেখার মধ্যে কোনো বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক আছে? ক্যাফেইন মূলত এক ধরণের উদ্দীপক। এটি আমাদের মস্তিষ্কে অ্যাডেনোসিন নামের এক রাসায়নিককে কাজ করতে বাধা দেয়।
অ্যাডেনোসিন সারাদিন জমতে জমতে সন্ধ্যার পর ঘুমঘুম ভাব আনতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন সেই ঘুমের সংকেতকে চাপা দিয়ে আমাদের জাগিয়ে রাখে।ফলে বিকেল বা রাতে কফি খেলে ঘুমের ধারা ভেঙে যেতে পারে। এছাড়া ‘নন-র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ অর্থাৎ গভীর ঘুম কমে যায়।
গবেষণা বলছে, যত বেলা করে আমরা ক্যাফেইন নেই, ঘুম তত খারাপ হয়।স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি হয় ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা গভীর ঘুমের সময়ে। এই সময়ে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। স্বপ্নগুলো হয়ে ওঠে বাস্তবের মতো স্পষ্ট, কখনো আবেগপূর্ণ, কখনো রঙিন কল্পনার মতো।
সবাই যে ক্যাফেইন কমালেই জীবন্ত স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে—তা নয়।ঘুম ও স্বপ্ন দুটোই খুব জটিল প্রক্রিয়া। কারও ক্ষেত্রে এই প্রভাব কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই মিলিয়ে যায়।
তবে শুধু নেতিবাচক দিক নয়, ক্যাফেইনের উপকারিতাও কম নয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পানকারীদের মধ্যে বিষণ্নতার ঝুঁকি কম। আবার পারকিনসনের মতো স্নায়বিক রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। কফিতে আছে শরীরের জন্য দরকারি বি-ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই সম্পূর্ণ কফি বাদ দিতে না চাইলে অন্তত পানের সময় বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুমের অন্তত আট ঘণ্টা আগ থেকে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা ভালো। আর শোয়ার আগে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভারী ডোজ না নেওয়াই উত্তম। তাহলেই হয়তো রাতে ঘুম হবে শান্তিময়। আর কে জানে—স্বপ্নগুলোও হয়ে উঠতে পারে রঙিন, জীবন্ত আর খানিকটা অদ্ভুত! [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন