১৪ অক্টোবর ২০২৫

খেজুর না বরই কোনটা !

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
খেজুর না বরই কোনটা !
বাংলাপ্রেস ঢাকা: বেশ কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেজুর আর বরই নিয়ে বড়ই উত্তাপ ছাড়িয়েছে। আসুন বরই আর খেজুরের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। খেজুর, মধ্যপ্রাচ্যের এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামসহ নানান পুষ্টিগুণ। এসব খাদ্য উপাদান শরীরে অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে যখন আপনার বয়স পৌঁছাবে ৩০-এর কোঠায়। এ সময় মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, আমাদের কর্মশক্তি হ্রাস, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, পেশির সমস্যা, হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হিমোগ্লোবিনের অসামঞ্জস্যতা, হজমে সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাড় ক্ষয়, ত্বকের নানা সমস্যা হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে মিলবে যে ৮ টি উপকার ১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ২. মস্তিষ্ক সচল রাখে ৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ ৪. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী ৫. হিমোগ্লোবিন বাড়ায় ৬. ত্বককে টানটান করে ৭. হার্টের সমস্যা দূর করে ৮. খুসখুসে কাশি দূর করে অপরদিকে কুল বা বরই অত্যন্ত চমৎকার একটি রক্ত বিশুদ্ধকারক ফল। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক বরই অত্যন্ত উপকারী। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে চমৎকার কাজ করে এই ফলটি। বিশেষজ্ঞরা বলছে, ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কুল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্নায়ু এবং হাড়ের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী। এই ফলটি পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও ব্রণ মুক্ত রাখে, পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। ফ্রি ব়্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হাড়ের সমস্যা দূর করতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে কুল। চীনের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে, কুল অনিদ্রার সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে। বীজসহ পুরো ফলটাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন সমৃদ্ধ। এইসব উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে, মন ও শরীরকে শিথিল করে এবং ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। স্ট্রেস কমাতেও জুড়ি নেই এই ফলের। মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখা সহ এটি উদ্বেগ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়া কুল হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এই মৌসুমি ফলটি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। বিপি>আর এল
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন