১৪ অক্টোবর ২০২৫

কিডনির স্বাস্থ্য: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সুরক্ষা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
কিডনির স্বাস্থ্য: প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সুরক্ষা
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল শরীর থেকে বের করে দেয়, শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মিনারেল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরের বিভিন্ন অংশে সমস্যা হতে পারে। তাই কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী উপায়
পানি বেশি পান করা কিডনি ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া অপরিহার্য। পানি কিডনির জন্য একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে, যা কিডনির মাধ্যমে বর্জ্য বের করে দেয়। সাধারণত দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত, তবে এটি শরীরের চাহিদার উপর নির্ভর করে। যারা বেশি ব্যায়াম করেন বা গরম এলাকায় বাস করেন, তাদের পানি গ্রহণের পরিমাণ বেশি হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা কিডনি সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। লবণ, চিনি ও চর্বি বেশি পরিমাণে গ্রহণ কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিডনি ভালো রাখতে পরিমিত লবণ গ্রহণ করুন এবং পুষ্টিকর খাদ্য যেমন ফল, শাকসবজি, পুরো শস্য, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ মাছ এবং কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অতিরিক্ত ওজন কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং কিডনি সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির জন্য একাধিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিক লবণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অযথা স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিসও কিডনির জন্য একটি বড় ঝুঁকি। সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কসরত গুরুত্বপূর্ণ। ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ধূমপান রক্তনালি সংকীর্ণ করে এবং কিডনি কোষের ক্ষতি করতে পারে, যখন অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করে। নিয়মিত ব্যায়াম করা রোজকার ৩০ মিনিটের ব্যায়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হাঁটা, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম বা সাঁতার কাটা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা কিডনির রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। কিডনির সঠিক কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য সময়মতো রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করা উচিত। কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং তা সঠিকভাবে কাজ করতে হলে আমাদের কিছু জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এইসব ব্যবস্থা অনুসরণ করলে আমরা কিডনি রোগ প্রতিরোধে সফল হতে পারব এবং দীর্ঘ সময় ধরে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারব। বিপি/টিআই  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন